অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল সেলতা ভিগো, তাই ম্যাচের শুরুতে মূল একাদশ বদলে লামিন ইয়ামাল এবং দানি ওলমোকে বেঞ্চে রেখেছিলেন বার্সেলোনা কোচ হানসি ফ্লিক। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে এ জুটির দুর্দান্ত নৈপুণ্যেই ঘটে নাটকীয় এই প্রত্যাবর্তন। ততক্ষণ ১-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা বার্সা তুলে নেয় ৪-৩ গোলের অবিশ্বাস্য এক জয়। আর এতে লা লিগা শিরোপার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল কাতালানরা।
১২ মিনিটে ফেরান তোরেস গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন। বাঁ দিক থেকে ড্রাইভ করে বক্সের কিনারা থেকে দুর্দান্ত শটে বল পাঠান নিচের কোনায়। কিন্তু মাত্র চার মিনিট পরেই সমতায় ফেরে সেলতা ভিগো। বার্সা গোলরক্ষক শেজনির ভুল সিদ্ধান্তে গোল পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। এ সুযোগে ক্রস থেকে বল পেয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান বরহা ইগলেসিয়াস। প্রথমার্ধের শেষ দিকে রবার্ট লেভানডফস্কি সুযোগ পেলেও হতাশ করেন। অবশ্য আগের প্রায়শ্চিত্ব হিসেবে জোড়া সেভ করে দলকে বাঁচান শেজনি।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই বাজে পরিস্থিতি। ৫২ মিনিটে ইগলেসিয়াস ফের গোল করে সেলতাকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন। ফ্যাংক ডি ইয়ংয়ের ক্লিয়ার করতে না পারা বল থেকে দারুণ শটে গোল করেন তিনি। ঘড়ির কাঁটা ঘুরতে না ঘুরতেই আবারো গোল! এ যাত্রায় নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে নেন ইগলেসিয়াস। বার্সা তখন বিপর্যয়ের মুখে।
তবে ইয়ামাল এবং ওলমো মাঠে নামতেই বদলে যেতে থাকে দৃশ্যপট। ৭২ মিনিটে রাফিনহার পাস থেকে গোল করে ব্যবধান কমান দানি ওলমো। এরপর রাফিনহা নিজেই গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। তাকে বলের যোগান দেন ইয়ামাল। শেষদিকে নাটকীয়তা বাড়ে আরও। যোগ করা সময়ে টাইমে ডি-বক্সে ওলমো ফাউলের শিকার হলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। আর স্পটকিক থেকে নিখুঁত শটে জালভেদ করে বার্সাকে ৪-৩ ব্যবধানে জয় এনে দেন রাফিনহা।
এই জয়ে লা লিগা শিরোপার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে বার্সেলোনা। ৩২ রাউন্ড শেষে বার্সার পয়েন্ট এখন ৭৩। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালের চেয়ে তারা এগিয়ে ৭ পয়েন্টে।