শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

মানবতাবিরোধী অপরাধ

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুলের আপিল শুনানি ৬ মে

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৪ এএম

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য আগামী ৬ মে দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। ওইদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং ৬ মে তারিখে জামায়াত নেতা আজহারের আপিল কার্যতালিকায় শীর্ষে থাকবে বলে আদালত আদেশ দিয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান দেন। 

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দেয় সর্বোচ্চ আদালত। একইসঙ্গে আসামিপক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

এটিএম আজহারুল ইসলামের রিভিউ আবেদন মঞ্জুর করে, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেয়। এর মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধের এটিই প্রথম কোনো মামলা, যেটিতে রিভিউ থেকে মূল আপিল শুনানির অনুমতি দেওয়া হয়। 

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। 

এই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং জামায়াত নেতা আজহারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল বিভাগে জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি এটিএম আজহারের রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল, তবে ওইদিন শুনানি হয়নি এবং আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য পরবর্তী সময়ে দিন ধার্য করেন।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ। তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। 

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজহারের বিরুদ্ধে ১২৫৬ জনকে হত্যার, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘর লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়। 

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি, জামায়াত নেতা আজহারের আইনজীবীরা ১১৩ যুক্তি তুলে ধরে তাকে নির্দোষ দাবি করে আপিল করেন। 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত