নরসিংদীতে পূর্ব শত্রুতার বিরোধের জের ধরে আমির হোসেন সরকার (২৮) নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে আলোকবালি ইউনিয়নের আলোকবালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
নিহত আমির হোসেন সরকার আলোকবালি গ্রামের আবদুল হকের ছেলে। তিনি আলোকবালি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য এবং একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ থাকায় সরকার পতনের পর ইউপি সদস্য আমির হোসেন সরকার নরসিংদীতে বসবাস করতেন। সোমবার রাতে মালয়েশিয়া থেকে ৮ বছর পর দেশে আসেন আমিরের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম। প্রবাস ফেরত বড় ভাইকে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি ফিরেন আমির। তার এলাকায় আসার খবর পেয়ে প্রতিপক্ষের ৮ থেকে ৯ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমির হোসেনের বাড়িতে ঢুকে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন বড় ভাইসহ দুইজন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্পিডবোটে বিকাল ৪টায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের বড় বোন সালেহা বলেন, এলাকাবাসী আমার ভাইকে ভালোবাসে, তাই তারা জোড় করে ভাইকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায়। এই নির্বাচনে বিএনপি নেতা আব্দুল জব্বার মিয়ার (৫৬) সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয় । ২০২১ সালে ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভাই ও আব্দুল জব্বার ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ও ভাই বিজয়ী হয়। এই ঘটনার জেরে জব্বার ও তার লোকজন কুপিয়ে ভাইকে হত্যা করে।
নিহতের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, ৮ বছর পর মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসেছি। ভাই আমাকে নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল। আমার চোখের সামনে ভাইকে কুপিয়ে মেরে ফেললো। ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে আমিও আহত হয়েছি। আমি ভাইয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, পূর্ব শত্রুতার বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আর পরিবারের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।