'আমাদের বেতন বৃদ্ধিতে আপনারা খুশি নন', সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন শান্তর

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে চলছে একধরনের প্রজন্ম পরিবর্তন। অভিজ্ঞদের স্থানে জায়গা করে নিচ্ছেন তরুণরা। তাঁদের কাঁধেই উঠেছে জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব। কিন্তু ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের অভাবে সেই প্রত্যাশার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না দল। ফলে দলের পারফরম্যান্স-সংকটে সমালোচনার তীর ছুটছে ক্রিকেটারদের দিকেই। সঙ্গে জবাবদিহির মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিবি)।

এমন পরিস্থিতির মাঝেই বিসিবি ঘোষণা দিয়েছে খেলোয়াড়দের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির। নতুন সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার পরই ম্যাচ ফি বাড়ানো হয়েছে। গত মাসেই বিসিবি টেস্টের ম্যাচ ফি ৬ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৮ লাখ করেছে। ওয়ানডেতে করা হয়েছে ৬ লাখ, টি-টোয়েন্টিতে আড়াই লাখ টাকা। কোচিং স্টাফেও এসেছে পরিবর্তন—বিদেশিদের আধিক্য থাকলেও একজন স্থানীয় কোচ এবার সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তবুও দলের ব্যর্থতায় এই বেতন বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারের পর বুধবার সিলেটে ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বেতন বৃদ্ধি ও পারফরম্যান্সের ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন শুনে খানিকটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতেই জবাব দেন তিনি। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন, “আমাদের বেতন বৃদ্ধিতে আপনারা সাংবাদিকেরা খুশি নন?”

যদিও শান্ত সরাসরি কিছু বলেননি, তবে বোর্ডের সহযোগিতাকে প্রশংসা করে বলেন, “আমার মনে হয় আমাদের ম্যাচ ফি বেড়েছে। বোর্ড আমাদের খেয়াল রাখছে, এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু সেটাই শেষ কথা না। আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ভালো ক্রিকেট খেলা, দায়িত্ব নিয়ে খেলা। আমরা যদি ভালো না খেলি, তাহলে যত সুযোগ-সুবিধাই দিক, তাতে কোনো লাভ নেই।”

• স্ত্রীর সঙ্গে ফুটবলার মোরসালিনের বিচ্ছেদ, মামলা প্রত্যাহার

তিনি আরো স্বীকার করেন, মাঠের পারফরম্যান্সে ঘাটতি রয়েছে, “সারা দিন সবাই কষ্ট করছে। কিন্তু মাঠে নামার পর পরিকল্পনার বাস্তবায়নে ঘাটতি থাকছে। যার যার জায়গা থেকে ভূমিকা পালনে আরও মনোযোগ দিতে হবে।” শান্ত বলেন, “আমার কাছে মনে হয় ভালো ক্রিকেট খেলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু অর্থ না, দায়িত্ববোধও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দ্রুতই সমাধান খুঁজে নিতে হবে, সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে হবে।”

সিলেট টেস্টে ৩ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে হলে ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের বিকল্প নেই শান্তদের সামনে।