হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ইউনূস সাহেবের বিরুদ্ধে কড়া কথা বললে অনেকের কষ্ট লাগে। আমরা ইউনূস সাহেবকে অনেক সম্মান দিয়েছি। আমাদের পরিষ্কার কথা, আল্লাহর কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাদের সঙ্গেও শেখ হাসিনার মত আচরণ করা হবে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কুরআন বিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন বাতিল, সংবিধানে বহুত্ববাদের পরিবর্তে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল, ফ্যাসিবাদের আমলে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সকল গণহত্যার বিচার, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে ঢাকার জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মামুনুল হক বলেন, আমাদের সাংগঠনিক কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। ৩ তারিখে (৩ মে) আমরা সবাই সেই মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে মহাসমাবেশ সফল করবো। আজকের এই সমাবেশে বর্ষীয়ান নেতা ও আমাদের মুরুব্বি আব্দুল আউয়াল (কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর) সাহেবের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। ইনশাআল্লাহ তিন তারিখের মহাসমাবেশে নারায়ণগঞ্জ থেকে সকল মতবিরোধের ঊর্ধ্বে উঠে এক মহামিছিল নারায়ণগঞ্জ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
তিনি বলেন, আমরা চিন্তাও করতে পারছি না আগস্ট বিপ্লবের পর কোরআনকে কটাক্ষ করা এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হতে পারে। এই জঘন্য কমিশন বলেছে বাংলাদেশে বিদ্যমান উত্তরাধিকার আইন বৈষম্যমূলক। কুরআনে বিশ্বাসী মুসলমানদের বলতে চাই আপনারা কী বিশ্বাস করেন কিনা কুরআন ইনসাফ কায়েমের জন্য নাজিল করা হয়েছে? তা যদি হয়ে থাকে তাহলে এমন ধৃষ্টতা আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত নই। তারা নাকি কুরআনের এই বিধানকে উৎখাত করার অঙ্গীকার করেছেন।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তী এ সময়ে ব্যাপক সংস্কারের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিগত বছরে সংস্কারের আওয়াজ উঠেনি। রাষ্ট্রকে সংস্কারের কথা কেউ বলেনি। জুলাই বিপ্লবে দুই সহস্রের বেশি তাজা প্রাণের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ হল সংবিধানসহ বিভিন্ন সংস্কার কাজ পরিচালনা করা।
হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুফতি মনির হুসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব। সঞ্চালনায় ছিলেন হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলার সহসভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান ও মহানগরের সভাপতি মুফতি হারুনুর রশিদ।
