প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কাতার সফর স্বপ্নের মতো ছিল বলে জানিয়েছেন সফরসঙ্গী বাংলাদেশের চার জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ। সেখানে কাতার ফুটবল স্টেডিয়াম, অলিম্পিক জাদুঘরসহ বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখেছেন তারা। দেশের ক্রিকেট-ফুটবল নিয়ে কাতার ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের ধারণাও দিয়েছেন নারী ক্রীড়াবিদরা।
আজ শুক্রবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের নিজেদের অভিজ্ঞতা জানান কাতার সফর করা বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা।
আফিদা খন্দকার বলেন, আমরা খুবই খুশি হয়েছি প্রধান উপদেষ্টার সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে আমরা কাতারে গিয়েছি চারজন। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন থেকে আমরা চারজন যাবার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। আমাদের দেশের ফুটবল বা ক্রিকেট বা অন্যান্য যেসব খেলা আছে সেগুলো যেন আমরা কাতারের সামনে তুলে ধরতে পারি। তারা আমাদের সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি এবং সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার বলেন, আমরা যখন দেশের বাইরে যাই। তখন ভিআইপি সুবিধা পাই। কিন্তু এবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমরা গিয়েছি। আমরা অন্যরকম সুবিধা পেয়েছি। আমরা সেখানে অনেক ব্যস্ত সময় কাটিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টার অনেক অনুষ্ঠান নির্ধারিত ছিল। সেখানে অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য শোনার জন্য অনেক মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি। আমাদের যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে সেটি বলে প্রকাশ করা যাবে না। আমরা এই সফর নিয়ে অনেক বেশি খুশি।
দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টার সাথে এক বৈঠকে বাংলাদেশের নারী খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিও দেন কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখ হিন্দ বিনত হামাদ আল থানি।
শারমিন সুলতানা বলেন, আসলে সেখানে ক্রিকেট জনপ্রিয় না। ক্রিকেট নিয়ে তাদের ধারণা কম। আমাদের কথা শুনে তারা ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠে। শেখ হিন্দ বলেছেন, তারাও ক্রিকেট শুরু করবে। তারা বর্তমানে স্কুল পর্যায়ে ক্রিকেট শুরু করেছে। তারা চিন্তা ভাবনা করছে, কীভাবে পরের ধাপে যেতে পারে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে পারে। এটি নিয়ে তারা বেশি উৎসাহী ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
চার ক্রীড়াবিদের কাতার সফর ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, চার ক্রীড়াবিদের কাতারে যাওয়ার মধ্য দিয়ে একটি আলাদা মাত্রা পেয়েছে। সাধারণত সরকারি সফরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়ে থাকে। এবারও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এবার যদি ক্রীড়াবিদরা যদি না যেত, তাহলে ক্রীড়া নিয়ে আলোচনা হতো না। আমাদের এই ক্রীড়াবিদরা এবার সফরে যাওয়াতে তাদের নিয়ে আলাদাভাবে আগ্রহ সৃষ্টি এবং আলোচনা শুরু হয়েছে। আমরা মনে করি, এটি একটি শুরু। কাতারে যারা স্পোর্টস কর্মকর্তা আছেন তাদের সাথে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নিজে সরাসরি কথা বলেছেন। কাতার ফাউন্ডেশন স্পোর্টসের জন্য অনেক বড় ফ্যাক্টর।