ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যানজট নিরসন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশবান্ধব শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বিতর্কিত ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
আজ রবিবার দুপুরে ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বরাবর প্র্রক্টর অফিসে তার কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১. যানজট নিরসন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাস এলাকায় শুধুমাত্র রেজিষ্ট্রার্ড, নির্ধারিত, অধুমপায়ী রিকশার চলাচল নিশ্চিত করা।
২. শিক্ষার্থীদের চলাচলে দুর্ভোগ লাঘব এবং পরিবেশ রক্ষায় একটি কার্বনমুক্ত, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই শাটল সেবা চালু করা।
৩. বিতর্কিত ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করা যা দেশীয় সংস্কৃতি ও নীতি নৈতিকতা বিরোধী।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। প্রক্টর স্যার আমাদের জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবির সাথে একমত। তারা এ দাবিগুলো নিয়ে কাজ করবেন দ্রুতই।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ফার্মেসি স্থাপনের জন্য তারা কাজ শুরু করেছেন। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য শাটল ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ট্রান্সজেন্ডার কোটা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করার পর থেকেই আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম এটি বাতিলের জন্য। সে সময় এটি বাদ দেওয়া হলেও আবারও ভর্তির জন্য ভাইভার বিজ্ঞপ্তিতে কোটা অংশে ট্রান্সজেন্ডার কোটা উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রক্টর স্যার জানিয়েছেন কপি পেস্ট করার কারণ এমন অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। আমরা এটি বাতিলের দাবি জানাই।
ডাকসুর অগ্রগতি বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের জানানো হয়েছে ডাকসুর যে টাইমলাইন ঘোষণা করা হয়েছে সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করছে। এখন ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজ চলছে। একাজগুলো হয়ে গেলে ডাকসু নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আমাদের দাবি তফসিল ঘোষণার পূর্বে স্বৈরাচারের দোসর ছাত্রলীগ ও শিক্ষকরা যারা মদদ দিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।