কুষ্টিয়ায় এক চিকিৎসক দম্পতির ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি বলেছে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশে অপরাধ ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে।
সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, অতীতে বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসকরা কর্মস্থলে হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলেও কোনো ঘটনারই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। ফলে এমন লাঞ্ছনার ঘটনা বারবার ঘটেই চলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর থেকে সারাদেশে চিকিৎসকদের ওপর নির্যাতনের ধারাবাহিকতা চলছে। জনগণ আশা করেছিল, এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং অপরাধীরা শাস্তি পাবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো ঘটনারই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি চোখে পড়েনি।
সাম্প্রতিক ঘটনায় কুষ্টিয়ায় ডা. শারমিন সুলতানা তার নিজ চেম্বারে দিনে-দুপুরে অপহরণের চেষ্টার শিকার হন এবং মারাত্মকভাবে আহত হন। সন্দেহভাজন হিসেবে কিছু অভিযোগকে কেন্দ্র করে তাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়, যার পেছনে কোনো তথ্যপ্রমাণ ছিল না। তাকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তার স্বামী ডা. মুহাম্মদ মাসুদ রানা, চালক ও ম্যানেজারও দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন। একইসঙ্গে ছিনতাই করা হয় নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জানানো উচিত। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার যে ‘মব জাস্টিস’ সংস্কৃতি দেশে গড়ে উঠছে, তা কখনোই শুভ পরিণতি বয়ে আনবে না।
এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন দেশে একজন চিকিৎসক দম্পতির ওপর প্রকাশ্যে এমন বর্বরতা কেবল লজ্জাজনকই নয়, বরং তা আমাদের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার দারুণ অবক্ষয়কেও প্রকাশ করে।
বিএনপি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, অতীতে ঘটে যাওয়া সকল চিকিৎসক নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত না হলে এবং চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ গড়ে না তুললে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়।