নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দূষণ বন্ধ এবং দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল দিয়েছে উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে দূষণ করার কারণে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্তে রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৬ মে) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল দেয়।
শীতলক্ষ্যা দূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত গত ২৪ এপ্রিল এ রিট আবেদনটি করে পরিবেশ ও মানবাধিকারবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। এতে শীতলক্ষ্যা দূষণ বন্ধ ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনার আরজি জানানো হয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শফিকুর রহমান।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে বিবাদীদের (রিট মামলার বিবাদী) নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এ মর্মেও রুল দিয়েছে হাইকোর্ট। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে বিআইডব্লিউটিএ- কে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করতে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ যেন শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের শিল্প প্রতিষ্ঠানের দূষিত পানি ও অনান্য বর্জ্য নদীতে ফেলতে না পারে তার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আদালতে ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে শীতলক্ষ্যা নদীর পানি কি পরিমান দূষিত হয়েছে তা অর্থে পরিমাপ করে কি ক্ষতি হয়েছে তা আগামী তিন মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।