সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

জামালপুরে মাদ্রাসায় ভর্তিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ২০

আপডেট : ১১ মে ২০২৫, ১০:০১ পিএম

মাদ্রাসায় ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় দুই মাদ্রাসা সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।

রবিবার (১১ মে) দুপুরের দিকে  উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের কড়ইতলা নামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, মাদ্রাসা শিক্ষক মফিজুর রহমান (৪২), তার সমর্থক জনি (৩৮), আব্দুল মোতালেব (৩৭), মোত্তাকিন (৪৫), রুবেল (৩২), মিজান (৩৫) এবং মাদ্রাসা শিক্ষক ওবায়দুল ইসলাম (৪৫)।

আহতরা ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পাশের শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কড়ইতলা নামাপাড়া এলাকায় রাবিয়া বসরি মহিলা মাদ্রাসা (হিফজখানা) মফিজুর রহমান নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা পরিচালনা করে আসছেন। একই এলাকায় ওবায়দুল ইসলাম নামে অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা জামিয়া সুলতানিয়া রওজাতুর কোরআন মহিলা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি  করতে মফিজুর রহমান এবং ওবায়দুল ইসলাম মাঝে মধ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আসছিলেন।

এক পর্যায়ে গতকাল শনিবার (১০ মে) রাতে মফিজুর রহমানের সঙ্গে ওবায়দুল ইসলামের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জের পরে দুপুরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।

রাবিয়া বসরি মহিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান বলেন, ২০১২ সাল থেকে আমি মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছি। প্রতিবেশী ওবায়দুল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপবাদ ছড়িয়ে তার মাদ্রাসায় ছাত্রী ভর্তি করাতে দীর্ঘদিন থেকে অপকৌশল অবলম্বন করছে। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ-বৈঠকও হয়েছে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওবায়দুল আমাকে মারধর করেছে। তার লোকজন আমার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।

জামিয়া সুলতানিয়া রওজাতুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা ঠিক নয়। মূলত আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমাকে সহ আমার লোকজনকে মারধর করা হয়েছে।

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, আহতদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত