মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

প্রাক-প্রাথমিকের বেতন ভাতা বন্ধ 

বাউফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ১০৯ শিক্ষক

আপডেট : ১২ মে ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম

পটুয়াখালীর বাউফলে প্রাক-প্রাথমিকের সকল শিক্ষকের বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে। ফলে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শিক্ষকরা। বাউফলের শিক্ষা কর্মকর্তার অদক্ষতা ও অবহেলাকেই দায়ী করেছেন শিক্ষরা।

শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর বাউফলে মোট ২৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে প্রাক-প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান ১০৯ জন। শুরু থেকে তারা বেতন-ভাতা ঠিকভাবে পেলেও গত মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন তারা। চলতি মাসের বেতন পাবেন কিনা তা নিয়েও তারা শঙ্কিত।

শিক্ষকদের দাবি, ৪র্থ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় পরিচালিত এক বিজ্ঞপ্তিতে (১৮ ডিসেম্বর) জানানো হয়েছে, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পিইডিপি-৪ এর আওতায় নিয়োজিত প্রাক প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকাদের ২০২৫ সালের সকল বেতনভাতা বাবদ বরাদ্ধ হয়েছে। অথচ বাউফলে সে বরাদ্ধের টাকা এখনও পৌঁছায়নি। এতে চরম উৎকণ্ঠায় দিনযাপন করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

পার্শ্ববর্তী দশমিনা উপজেলার ৫৭ নম্বর কাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩ ব্যাচের সহকারী শিক্ষক (প্রাক-প্রাথমিক) শান্তনা রানী ঘোষ বলেন, আমাদের উপজেলায় প্রাক-প্রাথমিকের বেতন-ভাতা নিয়মিত পাচ্ছি। প্রতি মাসের ১-৫ তারিখের মধ্যে বেতনসহ শিক্ষাভাতা পেয়ে যাচ্ছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাউফল উপজেলার প্রাক-প্রাথমিকের একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, বাউফলের শিক্ষা কর্মকর্তার সদিচ্ছা বা অদক্ষতার কারণে তারা বেতন-ভাতা ঠিকভাবে পাচ্ছেন না। অনেকেই দোকানে বাকি বা ধার-দেনা করে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছেন। বেতন-ভাতা বন্ধ হওয়ায় সকলেই তাদের পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বরাদ্ধের ঘাটতি থাকায় বেতন-ভাতা পরিশোদ করা সম্ভব হয়নি। আমরা লিখিতভাবে অধিদপ্তরকে জানিয়েছি। আমাদের ঘাটাত পূরণ হলেই বেতন দিতে পারব।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত