মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন ও সৃজিত নতুন পদসমূহে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১২ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সামনে শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালে প্রস্তাবিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা’ ৩৯৫ টি নতুন পদ সৃষ্টি ও অর্গানোগ্রাম সংশোধনের প্রস্তাবনা উত্থাপিত হয়। তবে দীর্ঘ ১০ বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৫ সালের এপ্রিলে উপসচিব শফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রস্তাবনায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগের সম্মতি গ্রহণ করা হয়েছিল এবং পদগুলোর বেতন স্কেল অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ কর্তৃক নির্ধারণ করার কথা বলা হয়। একই সাথে যাবতীয় ব্যয়ভার মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের সংশ্লিষ্ট খাত থেকে মিটানো জন্য বলা হয়। ২০১৫ সালে সৃষ্টি করা ৩৯৫টি পদই ৯ম গ্রেডের অন্তর্ভুক্ত। সে সময় পদটি ‘মৎস্য সম্প্রসারণ এবং মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা’ নামে অলংকৃত করা হয়। এই পদ শুধুমাত্র ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদের জন্য বরাদ্দকৃত।
তারা দাবি করেন, বিসিএস (মৎস্য) ‘কম্পোজিশন ও ক্যাডার রুলস’ এ প্রয়োজনীয় সংশোধনী করতে হবে, যে সকল পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত নেই সে সকল পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং সৃজিত পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে ৩ বছরে নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
তারা আরও বলেন, বিগত ১০ বছরেও এর বাস্তবায়ন তারা দেখতে পাইনি এর ফলে একদিকে যেমন ফিশারিজ সেক্টরের সার্বিক উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে তেমনি ফিশারিজ গ্রাজুয়েটরা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী এই সেক্টরে অবদান রাখতে পারছে না। তাই খুব দ্রুত নিয়োগবিধিতে এই ৩৯৫ পদের অন্তর্ভুক্তি এবং অর্গানোগ্রামের বাস্তবায়ন দাবি তাদের। আমরা চাই, নতুন পদ তৈরি করা নয় বরং ২০১৫ সালে সৃষ্টি করা স্থায়ী ৬৩৭টি পদের অর্গানোগ্রামের বাস্তবায়ন করা হোক।