রাজধানীর কমলাপুরে আরাফাত (১৮) নামে নটরডেম কলেজের এক শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের ১ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি।
সোমবার (১২ মে) রাত ৮টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরাফাতের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায়। বাবার নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সহপাঠী বিশ্বনাথ চৌধুরী ও রিমন চৌধুরী জানান, তারা ৩ জনই নটরডেমের ১ম বর্ষের ছাত্র। কমলাপুর জসিম উদ্দিন রোডের ৩/১ নম্বর বাড়ির ২য় তলায় একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকেন তারা। দুপুরে কলেজ থেকে ফিরে যে যার রুমে বিশ্রাম করছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠে আরাফাতের রুম ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায় তারা। অনেক ডাকাডাকির পরও ভিতর থেকে কোন সাড়াশব্দ পায় নি। এক পর্যায়ে রুমের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে আরাফাত। সঙ্গে সঙ্গে তাকে সেখান থেকে নামিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
আরাফাত গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে দাবি করলেও এর কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি রুমমেট ও সহপাঠী বিশ্বনাথ এবং রিমন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।
একইদিন দুপুরে ধ্রবব্রত দাস নামে নটরডেম কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। কলেজটির একটি ভবনের ৩য় তলা থেকে তিনি নিচে পড়ে গিয়েছিলেন বলে তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছে তার সহপাঠীরা।