গত ১৭ বছর যারা গর্তে ছিল তারা সংস্কারের তালিম দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এখন যারা সংস্কারের কথা বলছে এদের কারও চেহারা আমরা দেখিনি। এদের অনেককে রাস্তায়ও দেখিনি। যখন শেখ হাসিনার ক্ষমতার চাপ এদের ওপর গেছে, তখন এরা গর্তে ঢুকে গেছে; আর গর্ত থেকে বের হয়নি। এখন গর্ত থেকে বের হয়ে এসে সংস্কারের তালিম দিচ্ছে আমাদের।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এ কথা বলেন তিনি। ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা পালানোর পরবর্তী বাংলাদেশ কেমন হবে, সেই সংস্কারের কথা মাথায় রেখেই বিএনপি ৩১ দফা দাবি দিয়েছিল। সবাই সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, সরকার সেটা জানাচ্ছে না। তারা কেন জানাচ্ছে না? কেউ যদি মনে করে হাসিনার মালিকানা অন্য কারও হাতে গেছে, দেশে কী হবে, সেটার বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবে—এই দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র মালিক দেশের জনগণ।
সংস্কার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মানুষের কাছে এর আগে কেউ যায়নি। বিএনপি সেটা করছে। কারণ, যেকোনো সংস্কারের জন্য মানুষের সমর্থন দরকার। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া কোনো সংস্কার সম্ভব নয়।
দেশকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, একটি অনির্বাচিত সরকার মানবিক করিডর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের মতামত নেই, মানুষের মতামত নেই। এর পেছনে কারা জড়িত, সেটা তারা জানতে চান।