মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

সাবেক মেয়র আইভীকে ‘গ্রেপ্তারে বাধা’ দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার ৩

আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তারে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. রিপন মৃধা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় ৫২ জনকে আসামি করার পাশাপাশি অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০ জনকে।

তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা এলাকার শহীদনগর ১ নম্বর গলির মো. হানিফের ছেলে মোহাম্মদ জিসান (২৮), কাশেমের ছেলে হানিফ (৪০) ও আব্দুল হাইয়ের ছেলে ফুড ব্লগার শওকত মিখুন (৪৩)।

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, সোমবার রাতে এই মামলা হয়েছে। সেইসঙ্গে এই মামলায় এজাহারনামীয় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় আইভীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় ৫টি হত্যা এবং হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা মিনারুল ইসলাম নামের এক পোশাক শ্রমিক হত্যা মামলায় গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইভীকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার সমর্থকদের বাধার মুখে পড়তে হয়।

পরে আইভীর বাড়িতে প্রবেশ করে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) হাসিনুজ্জামান, ওসি নাসির উদ্দিন আহমেদ ও ওসি শাহিনুর আলমসহ পুলিশের কয়েকজন সদস্য রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক স্লোগান দেন ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। পরে আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় শহরের উকিলপাড়া মোড়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হোন। বর্তমানে তারা সুস্থ রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৯ মে ভোরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার বাসভবন চুনকা কুটির থেকে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঈনউদ্দিন কাদিরের আদালতে উপস্থিত করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত