শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

মাধবপুরে চার মাসে গ্রেপ্তার ৫২ মাদক কারবারি

আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, ০২:১১ পিএম

হবিগঞ্জের মাধবপুরে এ বছরের প্রথম চার মাসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫২ মাদক কারবারি। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য। এসব ঘটনায় মাধবপুর মামলা হয়েছে ৩৩টি। জানা যায়, চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মাধবপুর থানার পুলিশ মোট ৩০৭ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ১৪২ পিস ইয়াবা, ৭৭ বোতল ফেনসিডিল ও ২৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে। গত বছর একই সময়ের তুলনায় গাঁজা উদ্ধার হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নূরুল হাসান তপু জানান, আমাদের এলাকার ছাতিয়াইন রেলওয়ে স্টেশনের পূর্বপাশে চা বাগানে আগে প্রতিদিন মাদকের আসর বসত। এখন পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে এই এলাকাসহ নোয়াপাড়া ইউনিয়ন মাদকমুক্ত হয়েছে।

তেলিয়াপাড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি খোকন তাঁতি জানান, আগে মাদকসেবীদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ছিলাম। কিছুদিন আগে মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুনের উদ্যোগে একটি উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে পুলিশ, বিজিবি, স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় মাদক নির্মূলে জন্য কাজ করছে। এখন মাদকসেবীদের তৎপরতা অনেক কমে এসেছে।

শাজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী জানান, পুলিশ ও বিজিবির তৎপরতার কারণে বর্তমানে মাদক কারবারি ও মাদকসেবীদের আনাগোনা কমেছে। তবে ফাঁড়ির রাস্তাগুলোতে তৎপরতা আরও বাড়ানো দরকার।

চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান, ৫ আগস্টের পর পুলিশ ও বিজিবির নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে আমাদের এলাকায় মাদকের উপদ্রব বেড়ে গিয়েছিল। গত কয়েকমাসে মাধবপুর থানার ওসির উদ্যোগে কয়েকটি উঠান বৈঠক হয় এবং পুলিশ ও বিজিবি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর মাদক নির্মূলকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ, আত্মহত্যার প্ররোচনা সাইবার অপরাধ, সড়ক দুর্ঘটনা, কিশোর অপরাধ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ মুক্ত সমাজ গড়তে জনসচেতনতা বাড়াতে তেলিয়াপাড়া চা বাগান, তেলিয়াপাড়া( নোয়াহাটি) বাজার, হরষপুর রেলওয়ে স্টেশন, মৌজপুর বাজার, পশ্চিম মাধবপুর ফুচকাবাড়ি, জগদীশপুর তেমুনিয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ ২০টি স্পটে উঠান বৈঠক করেছি। প্রত্যেকটি উঠান বৈঠকে আমি স্থানীয় জনসাধারণের কাছে আমার মোবাইল ফোন নাম্বার দিয়ে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, যেকোনও বিষয়ে বা তথ্য দেওয়ার জন্য তারা যেন সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি যতদিন এখানে আছি কোনও মাদক কারনারিকে শান্তিতে থাকতে দেব না। তারা মাদকের কারবার ছেড়ে দেবে, না হয় এলাকা ছেড়ে দেবে।

 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত