বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

গাজায় ত্রাণ না পৌঁছালে ৪৮ ঘণ্টায় মারা যাবে ১৪ হাজার শিশু 

আপডেট : ২০ মে ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম

দ্রুত ত্রাণ না পৌঁছালে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ১৪ হাজার শিশু মারা যাবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল টম ফ্লেচার। ইসরায়েল ১১ সপ্তাহের অবরোধ তুলে নেওয়ার পর সোমবার পাঁচটি ত্রাণবাহী লরি অতিক্রম পাঠানো হলেও সেগুলো এখনো এলাকায় পৌঁছায়নি।

মঙ্গলবার বিবিসি রেডিও ফোর টুডে অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান ফ্লেচার। 

জাতিসংঘ কীভাবে এই সংখ্যা নির্ধারণ করেছে জানতে চাইলে ফ্লেচার বলেন, ‘এই সংখ্যা খুবই উদ্বেগজনক। মাঠে আমাদের শক্তিশালী দল রয়েছে। মেডিকেল সেন্টার ও স্কুলের মতো জায়গায় এ সংখ্যা নির্ধারণে আমাদের দলগুলো কঠোর পরিশ্রম করছে।’

গাজা উপত্যকাকে মানবিক সহায়তা দিয়ে প্লাবিত করতে হবে। আজ গাজায় জাতিসংঘের শিশু খাদ্য বোঝাই আরও ১০০ ট্রাক পাঠানোর আশা করছেন বলে জানান তিনি। 

ফ্লেচার আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিটি মুহূর্তে বাধাগ্রস্ত হই। কিন্তু আমরা সেই শিশু খাদ্য দিয়ে তাদের কাছে পৌঁছাব। তাদের কাছে পৌঁছাতে গিয়ে উল্লেখযোগ্য সমস্যার সম্মুখীন হলেও চেষ্টা চালিয়ে যাবে জাতিসংঘ।’

গাজা সিটির এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য এক টুকরো রুটি খুঁজে পাচ্ছি না... দক্ষিণাঞ্চল থেকে আমরা কীভাবে সাহায্য পাব? সেখানে যাওয়া আমাদের জন্য কঠিন হবে। আমরা একটি ট্র্যাজেডির মধ্যে বাস করছি।’

এদিকে সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, মিত্রদের চাপের মুখে ১১ সপ্তাহ ধরে গাজা অবরোধ করার পর ‘ন্যূনতম’ পরিমাণ ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নেতানিয়াহু বলেন, বাস্তব ও কূটনৈতিক উভয় দৃষ্টিকোণ থেকেই আমাদের দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতিতে পৌঁছানো উচিত নয়।

ইসরায়েল বলছে, হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই অবরোধ আরোপ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৩ জন জীবিত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে ত্রাণের অপব্যবহার ও চুরির অভিযোগ এনেছে- যা হামাস অস্বীকার করেছে।

নেতানিয়াহু বলেন, যতক্ষণ না ইসরায়েল আইডিএফের নিয়ন্ত্রণে একটি সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে না পারে ততক্ষণ তারা কেবল ‘ন্যূনতম’ ত্রাণ সরবরাহের অনুমোদন দেবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত