সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ইসি মো. সানাউল্লাহ

স্থানীয় সরকার নির্বাচন কবে তা ইসির নয়, সরকারের এখতিয়ারভুক্ত

আপডেট : ২১ মে ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম

স্থানীয় সরকার নির্বাচন কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত ইসির নয় বরং সরকারের এখতিয়ারভুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অব.)।  তিনি বলেন, এনসিপি যে দাবি তুলেছে, তা রাজনৈতিক বিষয়। এ প্রসঙ্গে ইসি কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানান তিনি। বুধবার (২১ মে) নির্বাচন কমিশন সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, দল ও প্রার্থী নির্বাচনি প্রচার বিধিমালা এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা নিয়ে বৈঠক করেছি। দুটোই বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিটি এ নিয়ে কাজ করে কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে। তবে সংস্কার উদ্যোগ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে। অপরাপর সংশোধনীর বিষয় আছে। ততদিন পর্যন্ত হয়তো আমাদের অপেক্ষা করা লাগতে পারে এই জিনিসগুলোর চুড়ান্ত করার জন্য৷ তবে নীতিগত অনুমোদন হয়েছে নীতিমালার খসড়া। 

আচরণ বিধিমালার সঙ্গে সংস্কার কার্যক্রম জড়িত। সেটা হলেই এটা চুড়ান্ত করা হবে। 

এনসিপির আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা কোনো মতামত দিতে চাই না।

স্থানীয় নির্বাচন তারা আগে চাচ্ছে এমন বিষয় সামনে আনলে তিনি বলেন, নির্বাচনের সেক্যুয়েন্স কোনটা আগে হবে, কোনটা পরে হবে এটা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের হাতে নাই। সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কোন নির্বাচন আগে হবে বা পরে হবে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে। 

কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এনসিপির তোলা প্রশ্নের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, কোনো  রাজনৈতিক বক্তব্যের ওপর মন্তব্য করতে চাই না। আমরা কমিশন সস্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে এবং করে যাবে। 

এ বিষয় বলি আমরা কোনো আইনের বলে কাজ করেছি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের অনুচ্ছেদ ৫০, স্থানীয় নির্বাচন  ( সিটি করপোরেশন) আইনের ৫৪ ধারা। পৌরসভা নির্বাচনের বিধি ৫৪, উপজেলা নির্বাচন বিধিমালার ৫৬, ইউপি নির্বাচনের বিধি ৫৪। এই সবগুলোতে বলা আছে, নির্বাচন দরখাস্তে কাদের পক্ষভূক্ত করা যাবে। সেখানে নির্বাচন কমিশনকে পক্ষভূক্ত করার কোনো আইন নাই। কিন্তু আমাদের দেশে যেটা হয়ে থাকে, যদি কেউ দরখাস্ত করে থাকেন, নির্বাচন কমিশনকেও একটি পক্ষ বানান। কিন্তু আইনে যেহেতু নাই, আমরা স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত, আমরা ফাইল ঘেটে দেখার চেষ্টা করেছি যে কখনো নির্বাচন কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে পক্ষভূক্ত হয়েছে কিনা, বা আপিল করেছে কি না। আমরা এমন কোনো নজির পাইনি। সুতরাং আমাদের পক্ষভূক্ত হওয়ার বা আপিল করার সুযোগ আইন আমাদের দেয়নি। 

প্রচার ইসির তত্বাবধায়নে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, এটাও অনুমোদন হয়েছে। নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। চুড়ান্ত করতে আরেকটু সময় লাগবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত