প্রথমদিন আক্ষেপে পুড়েছিলেন নাঈম শেখ আর এনামুল হক বিজয়। দ্বিতীয় দিনেও আক্ষেপে পুড়তে হলো আরও দুজনকে। তারা অমিত হাসান ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। একজন আশা জাগিয়েও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। অন্যজন ফিফটি বঞ্চিত হয়েছেন। তবে শেষবেলায় সোহানের দায়িত্বশীল ব্যাটিং বাংলাদেশ এ দলকে এনে দিয়েছে সাড়ে তিনশো রানের সংগ্রহ। দিনের শেষ সেশনে স্বাগতিকদের গুটিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ড এ দলও শতরান পাড় করে ফেলেছে।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে কোনো সেঞ্চুরি ছাড়াই বাংলাদেশ ৩৫৭ রান করেছে বাংলাদেশ এ দল। আগের দিন নাঈম শেখ ৮২ রান করে আউট হয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় দিনে আরও বড় ইনিংস আসতে পারত স্বাগতিকদের ইনিংসে। সেভাবেই এগোচ্ছিলেন অমিত। কিন্তু বেন লিস্টারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন ৬৭ রান করেই। হাতাশায় মোড়ানো ১১০ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি চার ও ১টি ছক্কায়।
অমিতের বিদায়ের পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। অবশ্য তার বিদায়ের পর যারা ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন সবাই টেলএন্ডার। তারা ছিলেন যাওয়া আসায়। তবে ঐ সময় ওয়ানডে মেজাজে খেলে রানের চাকার গতি সচল রেখেছিলেন অধিনায়ক সোহান। পৌঁছে গিয়েছিলেন ফিফটির দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু ৪৮ রানে গিয়ে ধরা দেন ক্যাচ। জায়ডেন লেনক্সের বলে ডেল ফিলিপসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৪০ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটিও।
এর আগে ইনিংস বড় করার সুযোগ হাতছাড়া করেন মাহিদুল ইসলাম অংকন। আগের বলে ছক্কা মেরেছিলেন। পরের বলে আবারও ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে ধরা দেন ক্যাচ। ৫৯ বলে ২ ছক্কায় সাজিয়েছিলেন ২৪ রানের ইনিংস। তার আউটের ধরনই বলে দিয়েছিল টেস্ট খেলার মেজাজটা মাঝেমাঝেই হারিয়ে ফেলেন এই ক্রিকেটার। অমিত সেঞ্চুরি না পেলেও মেজাজ হারাননি একবারের জন্যও।
বাংলাদেশ এ দলকে থামাতে নিউজিল্যান্ড এ দলের হয়ে বেন লিস্টার ৪৩ রান খরচা করে নেন ৩ উইকেট। লেনক্সের ঝুলিতেও গেছে তিনটি উইকেট।
দিনের শেষ সেশনে নেমে কিউই ব্যাটারদের অবশ্য আগ্রাসী মেজাজেই দেখা গেছে। ২৯ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান তুলে নিয়েছে তারা। ক্রিস হিপি ৪১ ও জ্যো কার্টার ৪৮ রানে অপরাজিত আছেন। খালেদ আহমেদের বলে সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন রিস মারিও।