মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থা। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়।
ট্রাইব্যুনালের আগের কার্যবিধি অনুযায়ী, কোনো আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তা কার্যকর করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সংশোধিত কার্যবিধি অনুযায়ী এখন থেকে এ ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও তদন্ত কর্মকর্তাদেরকেও দেওয়া হয়েছে।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ এর ২২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রণীত ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যপ্রণালী বিধিমালা- ২০১০’ এর ৬৬ বিধিতে উল্লেখিত ক্ষমতাবলে গত বুধবার কার্যপ্রণালী বিধিমালার কিছু সংশোধনী আনা হয়।
এ সংশোধনীতে ৯ (২) বিধি বিলুপ্ত করে ৯ (২) প্রতিস্থাপিত করে বলা হয়, ‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অথবা তদন্তকারী কর্মকর্তা অথবা প্রসিকিউটর তদন্ত করতে পারবে। একই সঙ্গে ৮ (২) ধারা অনুযায়ী তারা ট্রাইব্যুনালের দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারবে।’
গণঅভ্যত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আন্দোলন দমনে হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা ও হাজার হাজার মানুষকে গুলি ও নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে। গত বছরের ৮ আগষ্ট আন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব হত্যাকান্ড ও নির্যাতনকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বিবেচনা করে বিচারের উদ্যোগ নেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল, প্রসিকিউশন শাখা ও তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করে সরকার। পাশাপাশি বিচারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের সংশোধনী আনে সরকার।