শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

বরিশালে হামলা

জিএম কাদেরসহ ২৫০ জনের বিরুদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ নেতার মামলা

আপডেট : ০১ জুন ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম

বরিশালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ৩০ জনের নামউল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০০–২৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (৩১ মে) দিবাগত রাতে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় এ মামলা করেন মহানগর গণঅধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর। রবিবার (১ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মিছিল চলাকালে প্রধান উপদেষ্টাসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের নিয়ে কটূক্তিমূলক স্লোগান না দিতে অনুরোধ করা হলে জাপা নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। অভিযুক্তরা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও গুলি চালায় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

এজাহারে আরও বলা হয়, জাপা নেতাকর্মীসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা, চাপাতি, পিস্তল, লোহার রড, বাঁশ ও ইট নিয়ে হামলা ও গুলি চালায়।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সাইদুল ইসলাম ট্যাপা, রুহুল আমিন হাওলাদার, রত্না আমিন, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম মাহমুদ, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, একেএম সেলিম ওসমান, আশরাফুজ্জামান আশু, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম জিন্না, এম এ জলিল, মহসিন উল ইসলাম হাবুল, মো. জুম্মান, মুফতি আল মাহিদ ও মাহমুদ সোহেলসহ ৩০ জন।

এজাহারে বলা হয়, শনিবার বিকালে নগরীর ফকিরবাড়ি রোডের মুখে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে চা পান করছিলাম। এ সময় জাতীয় পার্টির অফিস থেকে একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিল থেকে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অন্যান্য উপদেষ্টা ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক ও সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। তখন আমরা জাপা নেতাকর্মীদের এসব স্লোগান না দিতে অনুরোধ করি। এর পরপরই জাপা নেতাকর্মীসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা ও গুলি চালায়। এতে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় ৬ নেতাসহ ১৫–২০ জন আহত হয়।

এ বিষয়ে রোববার বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বরিশাল নগর জাপার আহ্বায়ক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, একদল টোকাই শ্রেণির যুবক আমাদের মিছিলে হামলা ও অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে আমাদের ৬ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মতাদর্শে ভিন্নতা থাকতেই পারে, কিন্তু সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম, তাহলে আমাদের ওপর হামলা কেন? আমরা প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।

প্রসঙ্গত, শনিবার বিকালে জাপা চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল ফকিরবাড়ি রোডের মুখে পৌঁছালে একদল যুবক লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে বলে অভিযোগ উঠে। তখন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলার অভিযোগে জাপা নেতাকর্মীরা এক যুবককে গণধোলাই দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। এরপর রাত পৌনে ৯টার দিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে একদল যুবক নগরীতে মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফকিরবাড়ি রোডে জাপার জেলা ও মহানগর কার্যালয় ভেঙে ফেলে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত