ইসরায়েলের হামলার জবাবে এবার পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সরাসরি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইরান অন্তত ১০০টি ড্রোন ছুড়েছে ইসরায়েলের দিকে। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইডিএফের মুখপাত্র ইফি ডেফরিন বলেন, “ইরান ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে আনুমানিক ১০০টি মানববিহীন ড্রোন ছুড়েছে।” তবে এসব ড্রোন প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
এর আগে, ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েল ভয়াবহ হামলা চালায়। স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে শহরজুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ওই হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোই ছিল মূল লক্ষ্য। পরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ হামলার কথা স্বীকার করেন।
সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানান, “খুব শিগগিরই ইরান পাল্টা হামলা চালাতে পারে।” তার সেই আশঙ্কার কিছু সময় পরেই ইরান থেকে ড্রোন হামলার খবর আসে।
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। দেশটির রেভ্যুলেশনারি গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি এবং খতম-আল আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের কমান্ডার ঘোলামালি রশিদ নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া ইসরায়েলের অতর্কিত অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের চারজন পরমাণু বিজ্ঞানী। তাঁদের মধ্যে আছেন ফেরেয়দুন আব্বাসি, যিনি এক সময় ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (এইওআই)-এর প্রধান ছিলেন। এ ছাড়া নিহত অন্য একজন বিজ্ঞানী হলেন মোহাম্মদ মেহেদী তেহরানচি, যিনি তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি।
তবে বাকি দুজন বিজ্ঞানীর পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি ইরান। এদিকে ইরান ইন্টারন্যাশনালের সরাসরি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলী খামেনির শীর্ষ উপদেষ্টা শামখানি নিহত হয়েছেন।