বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

‘ভাবতেই পারছি না বেঁচে গেলাম’ বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত যাত্রী

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, ০৯:০২ পিএম

আহমেদাবাদে ভেঙ্গে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান থেকে মাত্র একজন যাত্রী কী করে বেঁচে গেলেন, তার ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না বিমান পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। বিমানটিতে ক্রু সহ ২৪২ জন মানুষ থাকলেও ব্রিটিশ নাগরিক বিশোয়াসকুমার রমেশই একমাত্র জীবিত রয়েছেন।

তবে তার ঠিক পাশের আসনেই বসা তারই ভাই বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় মারা গেছেন বলে বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী তাদের পরিবার। ক্র্যানফিল্ড ইউনিভার্সিটির বিমান পরিবহন ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গাই গ্রেটন বিবিসির নিউজনাইট অনুষ্ঠানে বলেছেন, এরকম ঘটনা প্রায় শোনাই যায়নি আগে।

তিনি বলেন, আধুনিক বিমান এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে সেটি ক্র্যাশ করলেও প্রত্যেকেরই জীবিত থাকার প্রভূত সুযোগ থাকে। সেজন্য হয় প্রচুর সংখ্যক যাত্রী জীবিত থাকবেন অথবা দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি হবে যে কাউকেই আর জীবিত উদ্ধার করা যাবে না। সেদিক থেকে এটা সত্যিই অস্বাভাবিক ঘটনা।

তার ধারণা রমেশ যে আসনে বসেছিলেন, বিমান ভেঙ্গে পড়ার পরে সেই ১১-এ আসনটি সহ তিনি বাইরে ছিটকে পড়েছিলেন। তখনও রমেশ আসনেই বসা অবস্থায় ছিলেন সম্ভবত। গ্রেটন বলছেন, এই ব্যক্তিটি ‘অবিশ্বাস্য রকমের ভাগ্যবান’।

ভাবতেই পারছি না কীভাবে বেঁচে গেলাম

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রমেশের সঙ্গে কথা বলেছে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম ডিডি নিউজ। তিনি বলেছেন, আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না কীভাবে আমি বেঁচে গেলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম আমি মরতে চলেছি। আমি কোনও মতে চোখ খুলি। সিট বেল্ট খুলে বিমান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করি।

রমেশ জানান, বিমানের যে অংশে তার সিট ছিল, সেটি ডাক্তারি পড়ুয়াদের হোস্টেল ভবনে আঘাত করেনি। বিমানের ওই অংশ মাটির কাছাকাছি ছিল। আমার দরজাটি ভেঙে পড়েছিল। একটি ছোট জায়গা দেখতে পাই। সেখান দিয়েই আমি বিমান থেকে নেমে আসার চেষ্টা করি, বলেন তিনি।

রমেশ জানিয়েছেন, চোখের সামনেই বিমানের ক্রু ও সহযাত্রীদের মরতে দেখেছেন তিনি। বিধ্বস্ত বিমান থেকে বেরিয়ে আসার পর তার হেঁটে যাওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় ওই ভিডিও। দুর্ঘটনার কবলে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী জানান, তার বাঁ হাত পুড়ে গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে ঘটনাস্থল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার সকালে আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে রমেশের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন তিনি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত