পঞ্চগড়ে পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে ৪ ভারতীয় নাগরিকসহ আবারও ১৬ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শনিবার (১৪ জুন) ভোরে সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের মিস্ত্রি পাড়া ও তেতুঁলিয়া উপজেলার পেদিয়াগছ সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠানো হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, শনিবার ভোরে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন মিস্ত্রিপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৪২১ দিয়ে ভারতের ১৩২ ব্যাটালিয়নের ইশানগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা ১১ জনকে পুশইন করেছে। তাদের মধ্যে ৭ জন বাংলাদেশি ও ৪ জন ভারতীয় নাগরিক। এর মধ্যে পুরুষ ৪ জন, নারী ৩ জন এবং শিশু ৪ জন। সকালে তাদের মাগুড়া ইউনিয়নের রজলী থেকে আটক করে বিজিবি।
এদিকে গভীর রাতে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পেদিয়াগছ সীমান্তের মেইন পিলার ৪৩২ এর ১ নং সাব পিলার এলাকা দিয়ে ভারতের ১৩২ ব্যাটালিয়নের পুরোহিতগছ ক্যাম্পের সদস্যরা ৫ জনকে পুশইন করে। পরে পেদিয়াগছ সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে বিজিবি। তারা বর্তমানে বিজিবির হেফাজতে আছেন। তাদের মুম্বাই থেকে পুলিশ আটক করে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়।
তাদের একজন বন্দনা রানী বিশ্বাস বলেন, মুম্বাই পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে বিমানে করে কোলকাতায় নিয়ে আসে। সেখান থেকে গাড়িতে করে এনে গভীর রাতে সীমান্ত পার করে দেয়। আমরা সংখ্যায় ১২ জন ছিলাম। অন্যদের খবর জানি না।
পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আইনী প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিবারের কাছে ও ভারতীয় নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এর আগে পাঁচ দফায় নারী, শিশুসহ ৬৭ জনকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জোর করে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরুল ইসলাম বলেন, ভোরের দিকে দুই সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশি নাগরিক ১২ জনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বাকি চারজন ভারতীয় নাগরিক বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের ভারতে ফেরত দিতে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে। বিএসএফ তাদের ভারতীয় হিসেবে পরিচয় নিশ্চিত করার পর ফেরত পাঠানো হবে।