রাজবাড়ীর পাংশায় প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের নাওরা বনগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম সিহাব মন্ডল (২০)। সিহাব উপজেলার কশবামাজাইল ইউনিয়নের কুঠিমালয়াট গ্রামের উজ্জল মন্ডলের ছেলে। এই ঘটনায় হাসমত আলী নামে অপর আসামি পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগী দুইজনই সরিষা ইউনিয়নের বড় বনগ্রাম (সাহাপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। তাদের একজনের বয়স ১৩ ও আরেক জনের বয়স ১৪ বছর। ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী একই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ১০ থেকে ১১টার মধ্যে উপজেলার বনগ্রাম আতারুন্নেছা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ওই দুই শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল। তারা সরিষা ইউনিয়নের নাওরা বনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে সিহাব ও হাসমত নামে দুইজন তাদের পথরোধ করে।
এসময় ব্লেড বের করে ভয় দেখিয়ে পরিত্যক্ত স্কুলের ভেতর নিয়ে যায়। সেখান থেকে সিহাব মন্ডল এক শিক্ষার্থীকে পানের বরজের ভেতর নিয়ে যায়। অন্য শিক্ষার্থীকে হাসমত আলী পরিত্যক্ত স্কুলের ভেতর ধর্ষণ করে। এই ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা।
এই ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় এক শিক্ষার্থী বাবা ও অপর শিক্ষার্থী মা বাদী হয়ে পাংশা থানায় মামলা করেন। মামলার পর শিহাব মন্ডলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে সোমবার দুপুরে রাজবাড়ী আদালতে পাঠিয়েছে।
পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় শিহাব মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর হাসমতকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।