বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ভারত নিয়ে নতুন নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ১০:৩০ এএম

আসন্ন গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ মৌসুমকে সামনে রেখে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ নিরাপত্তা পর্যালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর নতুন নির্দেশনায় পুরো ভারতকে ‘লেভেল ২’ বা বাড়তি সতর্কতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “ভারতে অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। বিশেষত জনবহুল এলাকা ও পর্যটনস্থল অপরাধের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।” বিবৃতিতে ধর্ষণ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতার আশঙ্কার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।ৎ

নির্দেশনায় কিছু নির্দিষ্ট এলাকাকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সেসব অঞ্চল একেবারে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব মহারাষ্ট্র, উত্তর তেলেঙ্গানা থেকে পশ্চিম পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা। এসব অঞ্চলে জরুরি প্রয়োজনে মার্কিন দূতাবাসের সহায়তা পাওয়া কঠিন বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

এছাড়া, ভারতে অবস্থানরত মার্কিন কূটনীতিক ও সরকারি কর্মীদের এসব এলাকায় যেতে হলে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয় বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত ভ্রমণের সময় দেশটির প্রচলিত আইন ও সামাজিক প্রথা কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত। ভারতে জিপিএস ট্র্যাকার ও স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার বেআইনি, সেই সঙ্গে নারীদের একা ভ্রমণ না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বিদেশ ভ্রমণের মতোই এখানে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মীরকে ‘লেভেল ৪’ বা ‘ভ্রমণ না করার পরামর্শ’ তালিকায় রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য অনুযায়ী, সেখানে প্রায়ই বেসামরিক অস্থিরতা ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে লাইন অব কন্ট্রোল সংলগ্ন অঞ্চলসহ জনপ্রিয় পর্যটনস্থল শ্রীনগর, গুলমার্গ এবং পাহেলগাম।

তালিকাভুক্ত অন্যান্য বিপদসংকুল এলাকায় রয়েছে ভারতের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশ, যেখানে সশস্ত্র রাজনৈতিক চরমপন্থীদের হামলায় পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তারা প্রাণ হারিয়েছেন। একইভাবে মণিপুর রাজ্যকেও ‘লেভেল ৪’ তালিকায় ফেলা হয়েছে। সেখানে সম্প্রতি ভয়াবহ সহিংসতা ও গোষ্ঠীগত বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া, ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো ভ্রমণের আগে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কভাবে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে, কারণ এই এলাকায় বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকেই মূলত এসব নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ও দূতাবাসীয় সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত