শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ০৪:৩৭ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ‘সন্ত্রাসী’দের অবস্থান ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার প্রতিবাদ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। মঙ্গলবার দুপুরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। 

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে কলাভবন সংলগ্ন অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় তারা- ‘ক্যাম্পাসে বোমা মারে, প্রশাসন কি করে?’ ‘বোমাবাজদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস, আমাদের অধিকার’- প্রভৃতি স্লোগান দেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন শাওন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রতি অনীহা ও বিচারহীনতার অপসংস্কৃতিই এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দায়ী। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এখনো বিভিন্ন হলে অবস্থান করছে ও অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এক্ষেত্রে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ঈদুল আযহার ছুটি শেষে শিক্ষার্থীরা যখন ক্যাম্পাসের ফিরতে শুরু করেছে, তখনই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী নানাভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির পায়তারা করছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে অবস্থান করছে। কিন্তু প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রশাসন বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। 

ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গনেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, আগস্ট পরবর্তী সময়ে প্রশাসনের প্রতি শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনগুলোর যে প্রত্যাশা ছিল তা বাস্তবায়নে এই প্রশাসন পরিপূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ৫ ই আগস্ট পরবর্তীতে ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক বিকারগ্রস্ত তোফাজ্জল হত্যা, আমাদের ভাই সাম্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তাছাড়া, গতকাল সন্ত্রাসী লীগ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এসব কিছুর দায়ে আপনারা (উপাচার্য ও প্রক্টর) সপদে বহাল থাকার নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছেন। আমরা মনে করছি, এই প্রশাসনের ভিসি ও প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার সকল ক্ষমতা ও সাহস হারিয়ে ফেলেছে। এসময় তিনি ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অতি দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত