কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার প্রধান সড়কের একটি পুরোনো কালভার্ট দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে আছে। ফলে পৌর এলাকার মধ্যে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডেও শ্রীহাস্য গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়া এই সড়কটি নাঙ্গলকোট বাজারকে উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই পথে চলাচল করেন। কিন্তু গত বছর ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে কালভার্টটির একটি বড় অংশ ধসে যায়। ধসের পর প্রায় এক বছর পার হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, এটি একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। এখানে তৃতীয় শ্রেণীর সেবাও মিলে না। দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার প্রধান সড়কের কাভার্ট ভেঙে আছে এটি কারো নজরে আসে না। অথচ সকাল বিকাল এ সড়ক দিয়ে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে চলাচল করতে হয়। তারা আছে শুধু দুর্নীতি করার তালে।
তিনিও বলেন, কালভার্টটা অনেক আগেই জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। আমরা একাধিকবার পৌরসভাকে জানিয়েছি। ধসে পড়ার পরও কেউ দেখতে আসেনি। এখন বিকল্প পথ দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে। সময়ও লাগছে বেশি, খরচও বাড়ছে।
ভোগান্তির কথা জানিয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থী সুমি আক্তার বলেন, প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। সড়ক দিয়ে চলতে গেলে হঠাৎ করে পা হড়কে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বৃষ্টি হলে তো একদমই যাওয়া যায় না।
স্থানীয় দোকানদার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও বলছেন, কালভার্ট ধসে পড়ায় সড়কপথে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জোবাইদা ইয়াসমিন বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে এটির কাজ শুরু করা হবে। তার সঙ্গে সড়কের কাজ করা হবে। এখন সড়কের পাশে গাছ থাকায় টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো কাটার ব্যবস্থা করতেছি, তাই একটু দেরি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাঙ্গলকোট পৌর প্রশাসক ও নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। দ্রুত সংস্কারের জন্য প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, সড়কটি নাঙ্গলকোট পৌরসভার অন্যতম ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ পথ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে, ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও।