শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন

আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি রোহিঙ্গাদের

  • কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫, ১২:২৮ এএম

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির অগ্রগতির মুখে নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির থেকে তারা সদস্য সংগ্রহ শুরু করেছে। বুধবার আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার : রোহিঙ্গা বিদ্রোহের ঝুঁকি’ শীর্ষক এক  প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়, রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র তৎপরতা শুধু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সাম্প্রদায়িক ভারসাম্যকে নাড়িয়ে  দেবে না, বরং বাংলাদেশের জন্যও উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। সবচেয়ে বেশি বিপন্ন হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাকান আর্মির পেছনে রাখাইনের  বৌদ্ধ জনগণের সমর্থন থাকায় রোহিঙ্গা গোষ্ঠীগুলো ধর্মীয় আহ্বানের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ জোরদার করেছে। যদিও সহিংসতা কিছুটা কমেছে, তবু শিবিরভিত্তিক রিক্রুটমেন্ট বাড়ছে দিনদিন।

গত নভেম্বরে এ গোষ্ঠীগুলো আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। সেনাবাহিনী তাদের কাজে লাগাতে চাইলেও তা কার্যকর হয়নি, বরং সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা জটিলতা বাড়ছে।

রাজনৈতিক আলোচনা ও প্রত্যাবাসনে অনিশ্চয়তা : বাংলাদেশ সরকার সীমান্ত অঞ্চলে আরাকান আর্মির প্রভাব মাথায় রেখে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ শুরু করলেও রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের এ পদক্ষেপ সে প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ২০১৭ সালে যেসব এলাকায় রোহিঙ্গারা বসবাস করত, এখন তার বেশিরভাগই আরাকান আর্মির দখলে। ক্রাইসিস গ্রুপ বলেছে, রোহিঙ্গারা যদি আরাকান আর্মির বিরোধিতায় যায়, তাহলে মিয়ানমারের ভেতরে তাদের প্রতি জনমত আরও নেতিবাচক হয়ে উঠবে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারকে সীমান্তে স্থিতিশীলতা রক্ষায় আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো, রাখাইনে সহায়তা ও বাণিজ্য জোরদার করা এবং শরণার্থী শিবিরে সশস্ত্র  গোষ্ঠীগুলোর প্রভাব কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আরাকান আর্মিকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের আস্থা অর্জনে কার্যকর পদক্ষেপ করতে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে, তারা সবাইকে নিয়ে শাসন চালাতে সক্ষম।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত