সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার ওপর আক্রমণ, অপমান ও সহিংস আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)।
পৃথক বিবৃতিতে দুই মানবাধিকার সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
আসকের বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে প্রকাশিত এই দৃশ্য শুধু একজন ব্যক্তির প্রতি নয়, বরং দেশের সংবিধান মানবাধিকারের ন্যূনতম মূল্যবোধ ও আইনের শাসনের প্রতি সরাসরি আঘাতের নামান্তর।
আসক মনে করে, একজন নাগরিকের বিরুদ্ধে যদি কোনো গুরুতর অভিযোগ থেকেও থাকে তা নিষ্পত্তির একমাত্র পথ হচ্ছে সংবিধান ও প্রচলিত আইনের নির্ধারিত প্রক্রিয়া। বিচার ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে যে কোনো অপমানজনক ও সহিসংস আচরণ শুধু ব্যক্তি অধিকারকেই লঙ্ঘন করে না; তা একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল ভিত্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
আসকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাকে এভাবে সংঘবদ্ধ সহিংস গোষ্ঠীর দ্বারা হামলার শিকার করে লাঞ্চিত করা শুধুমাত্র ব্যাক্তির অপমান নয়, এটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও আইনের শাসনের প্রতি অবমাননার সামিল।
এদিকে পৃথক বিবৃতিতে কে এম নুরুল হুদার ওপর একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক ‘মব’ সন্ত্রাস করে হেনস্তা করা ও জুতার মালা পরানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এইচআরএসএস।
সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়, একজন সাবেক রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে এ ধরনের অসম্মানজনক আচরণ গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার ও আইনের শাসনের পরিপন্থী। এমন ঘটনাগুলো ব্যক্তি মর্যাদা, নাগরিক অধিকার এবং দেশে আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থাকে চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করে। এই ঘটনার দায় সরকার এড়াতে পারে না।
এইচআরএসএস মনে করে, কোন ব্যক্তি অপরাধ সংঘটিত করলে তাকে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করতে হবে। বিচার ব্যতিরেকে ‘মব’ বা জনতার হাতে আইন তুলে নেওয়ার ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর দৃষ্টান্ত। এই ধরনের আচরণ দেশের আইনি কাঠামো, মানবিক মূল্যবোধ এবং ন্যায়বিচার ব্যবস্থার প্রতি চ্যালেঞ্জ।