ভার্চুয়াল সংলাপে বক্তারা
শিক্ষা বাজেট ২০% করার দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০
করোনা সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আসন্ন জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’। সেই সঙ্গে বরাদ্দের অর্থ স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষা খাতে ব্যবহারেরও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষা : কেমন বাজেট চাই’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সাক্ষরতার হার নিয়ে তার আরও অনেক চাওয়া আছে। সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। আরেকটি বিষয় হলো, বহু ধারায় শিক্ষা চলছে। সব একত্র হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু জ্ঞান-বিজ্ঞানের যে অধিক্ষেত্র আছে, সেখানে সবাই আদৌ যাচ্ছে কি না, সেটি দেখার বিষয় আছে।
সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে ‘এডুকেশন ওয়াচ’-এর চেয়ারপারসন অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, এই সময়ে শিক্ষা অনেক পিছিয়ে গেছে। এ থেকে এগিয়ে যেতে না পারলে, শিক্ষা পুনরুদ্ধার করতে না পারলে, শিক্ষার্থীদের আবার ফিরিয়ে আনতে না পারলে টেকসই উন্নয়নে দক্ষ জনবল পাওয়া যাবে না। এ জন্য শিক্ষায় অনেক বেশি বরাদ্দ লাগবে। পরিকল্পনায় যা যা করার, তা-ই করতে হবে। আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
সঞ্চালকের বক্তব্যে ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’-এর নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, করোনা সংকটের কারণে মহাবিপর্যয়ের দিকে ধাবিত বিশ্ব। এ জন্য অর্থনীতিকে চালু রাখতে হবে। স্বাস্থ্য ও কৃষিকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কিন্তু তার মধ্যে যেন শিক্ষা হারিয়ে না যায়। শিক্ষাকে অগ্রাধিকারের জায়গা থেকে দেখতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বাজেটে অগ্রাধিকার খাতের মধ্যে শিক্ষা খাতও আছে। তাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) জানানো হয়েছে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পাবে। তারা এখন শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাজ করছে।
গণসাক্ষরতা অভিযানের ভাইস চেয়ার ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ বলেন, আবার শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যেতে হবে। এ জন্য প্রস্তুতি দরকার। তবে সারা দেশে একসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুলে ধাপে ধাপে খুলতে হবে। ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য দুই-তিন বছরের পরিকল্পনা করতে হবে। সংলাপে মূল প্রবন্ধে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’-এর উপপরিচালক কে এম এনামুল হক।
সংলাপে আরও বক্তব্য দেন সাংসদ আরমা দত্ত, শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক আহমেদ, অ্যাকশনএইডের এ দেশীয় পরিচালক ফারাহ কবীর, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক এহসানুর রহমান প্রমুখ।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০

করোনা সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আসন্ন জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’। সেই সঙ্গে বরাদ্দের অর্থ স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষা খাতে ব্যবহারেরও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষা : কেমন বাজেট চাই’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সাক্ষরতার হার নিয়ে তার আরও অনেক চাওয়া আছে। সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। আরেকটি বিষয় হলো, বহু ধারায় শিক্ষা চলছে। সব একত্র হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু জ্ঞান-বিজ্ঞানের যে অধিক্ষেত্র আছে, সেখানে সবাই আদৌ যাচ্ছে কি না, সেটি দেখার বিষয় আছে।
সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে ‘এডুকেশন ওয়াচ’-এর চেয়ারপারসন অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, এই সময়ে শিক্ষা অনেক পিছিয়ে গেছে। এ থেকে এগিয়ে যেতে না পারলে, শিক্ষা পুনরুদ্ধার করতে না পারলে, শিক্ষার্থীদের আবার ফিরিয়ে আনতে না পারলে টেকসই উন্নয়নে দক্ষ জনবল পাওয়া যাবে না। এ জন্য শিক্ষায় অনেক বেশি বরাদ্দ লাগবে। পরিকল্পনায় যা যা করার, তা-ই করতে হবে। আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
সঞ্চালকের বক্তব্যে ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’-এর নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, করোনা সংকটের কারণে মহাবিপর্যয়ের দিকে ধাবিত বিশ্ব। এ জন্য অর্থনীতিকে চালু রাখতে হবে। স্বাস্থ্য ও কৃষিকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কিন্তু তার মধ্যে যেন শিক্ষা হারিয়ে না যায়। শিক্ষাকে অগ্রাধিকারের জায়গা থেকে দেখতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বাজেটে অগ্রাধিকার খাতের মধ্যে শিক্ষা খাতও আছে। তাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) জানানো হয়েছে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পাবে। তারা এখন শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাজ করছে।
গণসাক্ষরতা অভিযানের ভাইস চেয়ার ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ বলেন, আবার শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যেতে হবে। এ জন্য প্রস্তুতি দরকার। তবে সারা দেশে একসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুলে ধাপে ধাপে খুলতে হবে। ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য দুই-তিন বছরের পরিকল্পনা করতে হবে। সংলাপে মূল প্রবন্ধে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’-এর উপপরিচালক কে এম এনামুল হক।
সংলাপে আরও বক্তব্য দেন সাংসদ আরমা দত্ত, শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক আহমেদ, অ্যাকশনএইডের এ দেশীয় পরিচালক ফারাহ কবীর, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক এহসানুর রহমান প্রমুখ।