মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

পুতিনকে এড়িয়ে সৌদি যুবরাজকে নিয়েই ‘উচ্ছ্বসিত’ ট্রাম্প

আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:২৫ পিএম

জি-২০ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আগেই বৈঠক বাতিল করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সম্মেলনস্থলেও পুতিনের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলেছেন তিনি।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার আর্জেন্টিনায় শুরু হওয়া বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ ২০টি দেশের জোট জি-২০ এর সম্মেলনে একত্রিত হয়েছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। এদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত থাকলেও পুতিনের সঙ্গে দেখা যায়নি ট্রাম্পকে।

বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, যৌথ সংলাপ, সম্পর্ক উন্নয়ন- এই সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় থাকলেও ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিন এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মিথস্ক্রিয়াই গুরুত্ব পেয়েছে।

রোববার ইউক্রেনের জাহাজ আটকের ঘটনায় পুতিনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় ট্রাম্পের। আর অক্টোবরের শুরুতে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের জন্য নিজ দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সৌদি যুবরাজকে দায়ী করলেও তাকে বাঁচাতে মরিয়া ভূমিকায় দেখা গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।

তবে সম্মেলনে পুতিনকে ছাপিয়ে বরং আলোচনায় আছেন সৌদি যুবরাজ। খাসোগি হত্যাকাণ্ডের জন্য বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ তিনি। এ ঘটনাকে ঘিরে পশ্চিমা শক্তির সমালোচনার শিকার সৌদি যুবরাজের ভাবমূর্তি রক্ষার এবং কূটনৈতিক অবস্থান সংহত করার পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে এ সম্মেলনকে।

সম্মেলনের গ্রুপ ছবি তুলতে সবার শেষে প্রবেশ করেন ট্রাম্প। এসময় তিনি পুতিন এবং সৌদি যুবরাজ কারও সঙ্গেই কোন কথা না বলে এবং করমর্দন না করে হেঁটে যান। তবে সম্মেলনের সাইডলাইনে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বেশ খোশমেজাজে সময় কাটান তিনি। আলাপরত দুই নেতাকে বেশ উচ্ছ্বসিত অবস্থায় দেখা গেছে। পরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। আমাদের আলোচনায় এমন কিছুই ছিল না।”

এদিকে বিন সালমানকে ‘হাই-ফাইভ’ দেন পুতিন এবং এসময় দুজনকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গেছে সৌদি আরবের ভবিষ্যৎ এ উত্তরাধিকারের সাথে কথা বলতে।

এদিকে সম্মেলনের প্রথম দিনেই কানাডা এবং মেক্সিকোর সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পন্ন করেন ট্রাম্প। দুই দেশের সঙ্গে কঠোর এই চুক্তি সম্পন্ন করাকে তিনি ‘বড় সাফল্য’ হিসেবেই দেখছেন।

দুদিনের এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নেও বেশ আশাবাদী ট্রাম্প। সম্মলেনের শেষ দিন শনিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ডিনারে বসছেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে কথা বলেছি; সম্পর্ক উন্নয়নে আমাদের চেষ্টার কমতি নেই। শেষপর্যন্ত দুই দেশই যদি একটি চুক্তিতে আসতে পারি, তাহলে উভয়ের জন্যই এটি মঙ্গলজনক।”

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত