মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট এপ্রোচ 'সিক্স সিগমা'

আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:৩২ পিএম

সিক্স সিগমার শুরুটা হয়েছিল  মটোরোলা কোম্পানির মাধ্যমে ১৯৮৭ সালে। এই কোম্পানির মার্কেট শেয়ার যখন ৯০% থেকে ১০% এ নেমে আসে, তখন ম্যানেজমেন্ট খুঁজতে থাকে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায়। যার ফলশ্রুতি আজকের সিক্স সিগমা। পরবর্তীতে বিভিন্ন খাতের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান সিক্স সিগমার মাধ্যমে লাভবান হয়েছে।

বাংলাদেশে সিক্স সিগমা নতুন হলেও বেশ কিছু ম্যানুফেকচারিং ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সিক্স সিগমা নিজেদের কোম্পানিতে শুরু করেছে যার মধ্যে টেলিকম, গার্মেন্টস, সিমেন্টও স্টিল ম্যানুফেকচারিং প্রতিষ্ঠান অন্যতম।

প্রতিযোগিতার এই যুগে কাজের মান উন্নয়নের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এখনকার নতুন ও সবচেয়ে জনপ্রিয় কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট এপ্রোচ 'সিক্স সিগমা'।

সকলেই কাস্টমারকে সবচেয়ে কম খরচে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দিতে চায়। আর খরচ কমাতে এবং বেশি লাভের মুখ দেখতে হলে কাজ করতে হবে নির্ভুলভাবে। কিন্তু কথায় বলে, মানুষ মাত্রই ভুল করে। তাই ত্রুটি কমিয়ে এনে অপেক্ষাকৃত নির্ভুলভাবে কার্য সমাধানের বিকল্প নেই। অপেক্ষাকৃত নির্ভুলভাবে কাজ সমাধা করার একটি সহজ ও ফলপ্রসূ মেথড হচ্ছে সিক্স সিগমা।

সিক্স সিগমা একটি কোম্পানির গাইড লাইন। যা অনুসরণ করলে সবচেয়ে কম ভুল এবং ত্রুটি নিয়ে একটি কাজের সমাধা করা যায়। যার অবশ্যম্ভাবী ফলাফল 'কাস্টমার সেটিসফেকশন'।

অন্যান্য কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টের মতো সিক্স সিগমার কিছু মৌলিক কার্যপ্রণালি আছে, যেমন:

- ম্যানেজমেন্টের সাপোর্ট নিশ্চিত করা

- কোম্পানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো আগে সমাধান করা

- সমস্যা বা ত্রুটি সমাধানে টিম গঠন করা, যেখানে থাকবে চ্যাম্পিয়ন, ব্ল্যাক বেল্ট, গ্রিন বেল্ট ইত্যাদি

- ডিমাইক এপ্রোচ অনুসরণ করা

- প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টিমকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত