শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

‘ক্রাইম পেট্রল’ দেখে ভাবিকে খুন

আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৬:৩৮ পিএম

ভারতীয় টিভি সিরিয়াল ‘ক্রাইম পেট্রল’ দেখে ভাবিকে খুনের পরিকল্পনা সাজায় দেবর। খুনের পর লাশ লুকিয়ে রাখা, স্বর্ণালংকারসহ দামি জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়াসহ নিজেকে গোপন করতে ওই সিরিয়ালের সহায়তা নেয় গ্রেপ্তার দেবর মো. ফরহাদ হোসেন লিমন (২২)।

সোমবার দামপাড়া পুলিশ লাইনসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিমনের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম।

তিনি জানান, টাকা চেয়ে না পেয়ে ভাবিকে খুনের পরিকল্পনা করে দেবর। নিহত হাসিনা বেগম নোয়াখালীর শফিগঞ্জ এলাকার পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মেয়ে। তিনি আকবর শাহ থানাধীন কালির হাট ১নম্বর গলিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আসামি লিমন চাঁদপুরের পাইকপাড়া এলাকার।

আমেনা বেগম জানান, ফরহাদ হোসেন লিমনকে গ্রেপ্তারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ডের প্রথম দিনেই লিমন তার ভাবিকে হত্যার কথা স্বীকার করে। নিয়মিত ভারতীয় ধারাবাহিক ‘ক্রাইম পেট্রল’ দেখত লিমন। ওই সিরিয়ালে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের কেস স্টাডি দেখানো হয়। সেখান থেকে দেখে ভাবিকে খুন করে এ ঘটনাকে চুরি হিসেবে সাজাতে চেষ্টা করে। রিমান্ডের প্রথম দিনে আসামি লিমনের দেওয়া তথ্যে পুলিশ লুট হওয়া কানের দুল, চেইন, ব্রেসলেটসহ স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করে।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিমউদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘লিমন জানায়, দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে। হত্যাকাণ্ডের দিন হাসিনা বেগমের বাসায় টিভি দেখার কথা বলে প্রবেশ করে। পরে রাতে ঘুমিয়ে গেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী হাসিনা বেগমকে খুন করে মরদেহ লুকিয়ে রাখে এবং স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে যায়।’

শুক্রবার রাতে হাসিনা বেগমকে (৩২) হত্যা করে ফরহাদ হোসেন লিমন। পরে হাসিনা বেগমের মরদেহ বাসার বাইরে আরেকটি কক্ষে তালা মেরে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাসিনা বেগমের ভাই মো. মানিক আকবর শাহ থানায় মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত