গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের খিদির গরিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা প্রতিদিন হাঁটুসমান পচা পানি মাড়িয়ে স্কুলে যাতায়াত করেন। মানবসৃষ্ট জলাবদ্ধতায় প্রায় আট বছর ধরে স্কুলের এমন পরিবেশের কারণে এলাকার সচেতন অভিভাবকরা আর এ স্কুলে তাদের সন্তানদের পাঠাতে চান না। ফলে প্রতি বছর কমছে শিক্ষার্থী।
নোংরা পানি মাড়িয়ে স্কুলে যাতায়াত করার কারণে সর্দিজ্বর ছাড়াও নানা প্রকার চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন স্কুলটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। জলাবদ্ধতার কারণে এখানে নেই বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা। সব জলমগ্ন থাকায় একটিমাত্র শৌচাগার ব্যবহার করেন শিক্ষার্থী ও তাদের পাঁচ শিক্ষক।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুরোধ করলেও অভিভাবকরা এমন পরিবেশে তাদের সন্তানকে আর পাঠাতে চান না।
চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন ভুট্টু বলেন, স্কুলের চারপাশে প্রভাবশালীরা অপরিকল্পিতভাবে পুকুর কাটায় বছরের সাত মাস স্কুলটি জলাবদ্ধ থাকে। একটা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে এত বড় সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।