ব্রাজিলের সরকারি ভবনে হামলার ঘটনায় দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল জুলিও সিজার ডি আরুদাকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। খবর আল জাজিরার।
লুলা তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেননি। তবে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বলছে, জেনারেল জুলিও সিজার ডি আরুদাকে সেনাবাহিনী প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
আরুদার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে জেনারেল টমাস মিগুয়েল রিবেইরো পাইভাকে, যিনি দক্ষিণ-পূর্ব সামরিক কমান্ডের প্রধান ছিলেন।
শুক্রবার নৌবাহিনীর কমান্ডার মার্কোস সাম্পাইও ওলসেন এবং বিমান বাহিনীর মার্সেলো কানিৎজ দামাসেনোসহ অরুদা লুলার সাথে একটি বৈঠকে যোগ দেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হোসে মুসিও মন্টিরো বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, দেশটির সশস্ত্র বাহিনী দাঙ্গায় সরাসরি জড়িত ছিল না। তবে জড়িত সব সামরিক কর্মীদের ‘নাগরিক হিসাবে জবাব’ দিতে হবে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সমর্থকরা গত ৮ জানুয়ারি রাজধানী ব্রাসিলিয়াতে ন্যাশনাল কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালানোর কয়েক সপ্তাহ পরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। দাঙ্গাকারীরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লুলার কাছে বলসোনারোর পরাজয়কে বাতিল করতে সামরিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছিল।
দাঙ্গার পরপরই লুলা বলেছিলেন যে তিনি এতে 'সশস্ত্র বাহিনীর লোকদের' জড়িত থাকার সন্দেহ করেছিলেন।
অতিসম্প্রতি এই বামপন্থী ব্রাজিলিয়ান নেতা বলেছেন, তার সরকার কট্টর বলসোনারোর অনুগতদের নিরাপত্তা বাহিনী থেকে বের করবে। অস্থিরতার পরে তিনি তার নিরাপত্তা বহর থেকে কয়েক ডজন সৈন্যকে সরিয়ে দেন।
দেশটিতে দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারক তদন্তে উসকানিদাতা হিসেবে বলসোনারোকে যুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছেন।
বলসোনারো, একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সশস্ত্র বাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন।