মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানানোর আহ্বান মেয়র তাপসের

আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:১০ পিএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এডিস মশার প্রজননস্থল সম্পর্কিত কিংবা প্রজননস্থল সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে এমন তথ্য দিলে সেখানে ১৫ মিনিটের মধ্যে করপোরেশনের মশককর্মী উপস্থিত হয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূল করবে

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর ওয়ারী এলাকার ফকির চাঁন কমিউনিটি সেন্টারে '৪১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ উন্নয়ন উৎসব' এ যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমার যে অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি- আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, যদি আপনারা তথ্য দেন, স্টপ ওয়াচে ১৫ মিনিট সময় নিবেন, ইনশাআল্লাহ আমার মশককর্মী সেই জায়গায় উপস্থিত হয়ে যাবে। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূল করবে। আত্মবিশ্বাসের সাথে আমি সেই প্রতিশ্রুতি দিতে পারি। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না।’

এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূলে জনগণের সহযোগিতা কামনা করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘ডেঙ্গু এখন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা প্রতিদিনের পরিসংখ্যান নিয়ে দেখেছি যে, সারা বাংলাদেশে এখন দৈনিক প্রায় তিন হাজার রোগী হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গত সাত দিনে গড়ে পঞ্চাশের ওপরে রোগী পাওয়া যায়নি। গতকাল আমরা রোগী পেয়েছি ৫২ জন। তার আগের দিন আমরা পেয়েছি ৫৪ জন। তার আগের দিন সে সংখ্যা ছিল ৪৮ জন। আমরা কাজ করে চলেছি বলেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু তা পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য আপনাদের সহযোগিতা আশা করছি। আপনাদের সামগ্রিক ও ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা ছাড়া আমরা পূর্ণরূপে এডিস মশা নির্মূল করতে পারব না।’

সম্ভাব্য প্রজননস্থল সম্পর্কিত তথ্য দিতে আহ্বান জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আপনার নিজ বাড়ি, আঙিনা, ছাদ ও ছাদবাগান এবং নির্মাণাধীন ভবন আপনারা নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে পরিষ্কার করবেন। তারপরও আপনাদের যদি নজরে আসে এবং কোনো আশঙ্কা থেকে থাকে, পাড়া-প্রতিবেশীর কোনো বাড়ি বা স্থাপনায় পানি জমে আছে। সেখানে লার্ভা হতে পারে। আপনারা আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে, আমাদের কাউন্সিলর কিংবা মশক সুপারভাইজারকে তথ্য দিবেন। ১৫ মিনিটের মধ্যেই আমাদের মশককর্মী সেখানে হাজির হবে এবং সেটা পরিষ্কার করবে। সেখানে লার্ভিসাইডিং করবে, ফগিং করবে।’

ঢাদসিক এলাকায় এ বছরের জানুয়ারী হতে অদ্যবধি সাড়ে ৮ হাজার ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে এবং প্রতিটি রোগীর ঠিকানা নিয়ে সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একজন রোগীও বলতে পারবে না যে, তার ঠিকানা পাওয়া সত্ত্বেও আমরা কোনো কার্যক্রম বা উদ্যোগ গ্রহণ করিনি বলে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় জানান।

উল্লেখ, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিয়ন্ত্রণে করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে যে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে তার ফোন নাম্বার হলো- ০১৭০৯৯০০৮৮৮।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মারুফ আহমেদ মনসুর, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের রোকন উদ্দিন আহমেদ, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আরিফ হোসেন ছোটন, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান ইমন, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শামসুজ্জোহা, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের মাসুদ মোল্লা, ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রুহুল আমিন, ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের সালাহউদ্দিন আহম্মদ

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত