আইকাও-ডিজিসিএ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন আইকাওর কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট সালভাতোর সাকিতানো। ৩৮ বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সিভিল এভিয়েশন প্রধানদের (ডিজিসিএ) সম্মেলন। আজ রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে পাঁচ দিনের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
সম্মেলনে যোগ দিতে আইকাওর কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট সালভাতোর সাকিতানো শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। তিনি সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।
আইকাও-এপেকের ৫৮তম এই সম্মেলনে প্রায় ৩৬টি দেশ এবং ১১টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ ৩৩৬ জন বিদেশি ডেলিগেট অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন।
বেবিচক জানায়, পাঁচ দিনের এ আসরটি বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে। আইকাওর ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভার পর এটিই আঞ্চলিক পর্যায়ে সবচেয়ে বড় আয়োজন। এ সম্মেলনটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম আয়োজন করা হয়েছিল।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘আইকাওর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির এ সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো এ সম্মেলন আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল অবস্থা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ডিজিসিএর ৫৮তম কনফারেন্সটি এয়ার নেভিগেশন তথা এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে এভিয়েশন খাতেরও উন্নয়ন প্রয়োজন।’ জানা গেছে, সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মহাপরিচালকরা অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া আইকাওর সভাপতি সালভাতোর সাকিতানো, মহাসচিব হুয়ান কার্লোস সালাজার, আঞ্চলিক পরিচালক তাও মা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকা সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান, সৌদি সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেনারেল সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ট্রান্সপোর্ট অথরিটির ২০ জন সদস্যের একটি দল অংশগ্রহণ করবে।
সম্মেলনে এভিয়েশন খাতে এভিয়েশন সেফটি, এয়ার নেভিগেশন, এভিয়েশন সিকিউরিটি, ফেসিলিটেশন, এয়ার ট্রান্সপোর্ট উন্নয়ন, পরিবেশ বিপর্যয় রোধ, এভিয়েশন খাতের সক্ষমতা বাড়ানো ও প্রায়োগিক দিক বিষয়ে আলোচনা হবে এবং সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হবে। সম্মেলনে উত্থাপিত সুপারিশমালা পরবর্তী আইকাওর সাধারণ সভায় উত্থাপিত হবে।