আমরা আমাদের চারপাশে নানা ধরনের গাছ দেখতে পাই। এমন কিছু গাছ আছে যেগুলো দেখতে সুন্দর হলেই আমরা টবে লাগাই বা বাইরে দেখলে স্পর্শ করি। কিন্তু এমন অনেক গাছ আছে যেগুলো দেখতে সুন্দর হলেও মারাত্মক বিষাক্ত। এই গাছের পাশেই গেলেই হতে পারে মৃত্যু।
ছোট্ট গাছ গিম্পি-গিম্পি। যার ছোট্ট ছোট্ট অংশ বাতাসের সঙ্গে মিশে মানুষের শরীরকে মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। তবে এটি তো শুধু আক্ষরিক নাম, এর মানুষ-প্রদত্ত নাম হলো ‘সুইসাইড প্ল্যান্ট’। কারণ, এর ছোঁয়া তো বটেই, এর কাছাকাছি থাকাও প্রায় মৃত্যুর অভিজ্ঞতার সমতুল্য। কিন্তু, কী এমন অভিজ্ঞতা দেয় এই ‘সুইসাইড প্ল্যান্ট’?
গবেষকরা জানাচ্ছেন, গিম্পি-গিম্পি গাছ যদি ত্বকের সঙ্গে লাগে, তাহলে তার অনুভূতি হয় উত্তপ্ত লাল সুঁচ ফোটার মতো। সেটা মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য নয়, টানা কয়েক ঘণ্টা, এমনকি একটানা বেশ কয়েক দিন ধরেও এর ভয়ঙ্কর অনুভূতি ত্বকে থেকে যেতে পারে। পাতার গায়ে থাকা হুল ত্বকের স্তরের নিচে থেকে যেতে পারে সারা জীবনের জন্য। লক্ষবার সাবান দিয়ে হাত ঢুলেও যাকে তাড়ানো যায় না। বেশিক্ষণ এর কাছাকাছি থাকলে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। যার পরে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
গিম্পি গিম্পি গাছ এতটাই বিষাক্ত যে, কোনো পাতা যদি গাছ থেকে ছিঁড়ে নেওয়া হয় এবং অনেক বছর ধরে আলাদা কোথাও রেখে দেওয়া হয়, তারপর যদি কেউ সেটি স্পর্শ করে- তা হলেও সেই পাতা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে দেবে। সাধারণত, পদ্ম গোখরা থেকেও এর বিষ দীর্ঘকাল পর্যন্ত কার্যকর থাকে। মূলত, অস্ট্রেলিয়ার গভীর জঙ্গলে দেখা যায় এই গাছ। সূত্র: এশিয়ান নেট।