সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

দুই কেন্দ্রে শতভাগ, ২৭ কেন্দ্রে শূন্য ভোট

আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৩ এএম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৭টি কেন্দ্রে শূন্য ভোট পড়েছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ির ১৯টি ও রাঙামাটির আটটি কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-৩ ও গাইবান্ধা-৪ আসনের দুটি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। ২৯৮ আসনের কেন্দ্রভিত্তিক ফল বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ভোটশূন্য খাগড়াছড়ির ১৯ কেন্দ্র 

খাগড়াছড়ির ১৯৬ কেন্দ্রের মধ্যে যে ১৯ কেন্দ্র ভোটশূন্য ছিল সেগুলো হলো:  নুনছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জারুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঘাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বর্মাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, কুতুবছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুত্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোগাং করল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুধুকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিষ্টমনি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় পানছড়ি (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির এই আসনে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে স্থান পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়ও।

ভোটশূন্য রাঙামাটির আট কেন্দ্র

২১৩ কেন্দ্রের মধ্যে রাঙামাটির যে আট কেন্দ্র ভোটশূন্য ছিল সেগুলো হলো: বঙ্গলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিউলংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুইচুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিয়ালদাইলুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, বর্মাছড়ি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

রাঙামাটিতে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দীপঙ্কর তালুকদার।

দুই কেন্দ্রে শতভাগ ভোট

চট্টগ্রাম-৩ আসনের মমতাজুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্রের মোট ভোটার তিন হাজার ৯৮০ জন। এদের সকলেই ভোট দিয়েছেন। তবে বাতিল হয়েছে দুই হাজার ৩৫৭টি ভোট। এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মো. জামালউদ্দিন চৌধুরী পান ২৮ হাজার ৭০ ভোট। ৩৬.২১% ভোট পড়ে চট্টগ্রাম-৩ আসনে।

অন্যদিকে গাইবান্ধা-৪ আসনের শিবপুর ফজরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট ভোটার দুই হাজার ৪৫০ জন। তাদের সবাই ভোট দিলেও  বাতিল হয়েছে ৬৬২টি ভোট। এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ দুই লাখ এক হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গলের কাজী মো. মশিউর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ৩০৮ ভোট। গাইবান্ধা-৪ আসনে ৫৪.১৩% ভোট পড়েছে।

গত ৭ জানুয়ারি সারা দেশে ৪০ হাজারের বেশি কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। চার দিন পর সেই নির্বাচনের ২৯৮ আসনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। অনুমোদনের পর নির্বাচিতদের নাম ঠিকানাসহ গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শতাধিক কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছিল। সে সময় ভোট পড়ার হার ছিল ৮০ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪২ শতাংশ।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৭ জানুয়ারি ৩০০ আসনে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থী মারা যাওয়ায় নির্বাচন হয় ২৯৯ আসনে। আর ময়মনসিংহ-৩ আসনের একটি কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ফল স্থগিত রাখে ইসি। ফলে ২৯৮ আসনের ফল প্রকাশ করে সংস্থাটি।

২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২২, জাতীয় পার্টি ১১, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ১, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ১, কল্যাণ পার্টি ১ ও স্বতন্ত্র ৬২টি আসনে জয়লাভ করে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত