মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের জেরে এ পর্যন্ত ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে আরও ১৫০ জন বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এর আগে সোমবার সকালে আশ্রয় নেন ২৯ সীমান্তরক্ষী।
এদিকে চলমান সংঘাতের জেরে ছোড়া গুলিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিজিপি ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান যুদ্ধে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে আজ সকালে দেশটির বিজিপির ২৯ সদস্য জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এরপর বিকেল ৪টার দিকে আরও ১৫০ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিতে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে স্থানীয়রা ভিড় জমান জামছড়ি সীমান্তবর্তী মসজিদ এলাকায়। এ সময় বিজিপি সদস্যদের লক্ষ্য করে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে গুলি ছুঁড়লে একটি গুলি ইউপি সদস্য সাবের আহমেদের শরীরে লেগে আহত হন। তিনি এখন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আছেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. মুজাহিদ উদ্দিন বলেন, সকালে আশ্রিত ২৯ জন বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। বাকি ১৫০ জনকেও একই স্থানে রাখা হবে যদি সংকুলান হয়। তবে শিক্ষার ব্যাঘাত হয় এমন কোনো স্থানে না রাখতে তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।