১০ রমজানের পর সব সরকারি কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস প্রদান করা হলেও ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহম্মেদের খামখেয়ালিপনার কারণে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না কর্মচারীরা। এ নিয়ে হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হাসপাতালের কর্মচারীরা। অভিযোগ রয়েছে, ছুটি না থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহম্মেদের ঢাকায় অবস্থান করার ফলে বেতন-বোনাস পাননি কর্মচারীরা।
কর্মচারীরা জানান, হাসপাতালের কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও নার্সদের বেতন-বোনাস প্রদান করা হয়েছে আরও এক সপ্তাহ আগে, অথচ তাদের বেতন-বোনাস এখনো দেওয়া হয়নি। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহম্মেদ ইচ্ছে করেই তাদের ৪৯ জন কর্মচারীর বেতন-বোনাস এখনো অনলাইনে দাখিল করেননি। তিনি বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকেন। ঠিকমতো অফিস না করায় সময়মতো বেতন-বোনাস পাচ্ছেন না তারা। ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। বেতন-বোনাস না পাওয়ায় ঈদের কেনাকাটা করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেতন-বোনাস না দিলে লাগাতার কর্মসূচি দেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
হাসপাতালের কর্মচারী মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের বেতন প্রতি মাসের ২০ তারিখের পরে ছাড়া হয়। অথচ আমাদের তত্ত্বাবধায়কের গাফিলতির কারণে আমরা পরবর্তী মাসের ৫ তারিখের পরে বেতন পাই। শুধুমাত্র তত্ত্বাবধায়কের জন্যই আমরা সঠিক সময়ে বেতন পাই না। এই বেতনের ওপরই আমাদের সংসার নির্ভর করে। ঈদের মাসেও আমাদের সঙ্গে একই আচরণ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘কর্মচারীদের বেতন-বোনাস দেওয়ার এখনো সময় আছে। আমি ঢাকায় ছিলাম, তাই বেতন-বোনাস দেওয়াতে একটু দেরি হয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যেই কর্মচারীদের বেতন-বোনাস প্রদান করা হবে।’