উত্তর গাজায় নিজ ঘর-বাড়িতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন হাজারও ফিলিস্তিনি। সে সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণের শিকার হয়েছেন তারা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে।
স্থানীয় সময় রবিবার উত্তর গাজায় পুরুষ, মহিলা, শিশু এবং বৃদ্ধসহ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নারী ও শিশুদের ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে এমন খবরের প্রেক্ষিতেই নিজ বাসস্থানে ফিরতে শুরু করেন বাসিন্দারা।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে দেখা যায় যে বেশ বড় সংখ্যায় হাজারও মানুষ যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রথমবারের মতো উত্তর দিকে যাচ্ছেন৷
সিএনএন জানায়, কিছু ফিলিস্তিনি তাদেরকে জানিয়েছে যে, তারা শুনেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নারী ও শিশুদের ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে। আবার অন্যরা বলেছেন তাদের আত্মীয়দের উত্তর গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
যদিও সিএনএন-এর এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য মিথ্যা বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।
আইডিএফ জানিয়েছে, "উত্তর গাজা বর্তমানেও একটি সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্র হিসাবে অব্যাহত রয়েছে এবং এই এলাকায় ফিরে আসার অনুমতি নেই।"
সিএনএনের এক ভিডিওতে দেখা যায় যে, আল রাশিদের বিপজ্জনক উপকূলীয় রাস্তায় ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো তাদের জিনিসপত্র নিয়ে হাঁটছে। অনেকে সাইকেল, গাধার গাড়ি এবং পিক-আপ ট্রাকে করে ফেরত আসছে।
এমনই একজন ফেরত আসা নারী মাজদ আল আক্কাদ সিএনএনকে জানান, “আমি গাজা শহরে যাচ্ছি। আমাদের বাড়ি ও জমিতে ফিরে যেতে হবে। আমরা বাস্তুচ্যুত হয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
তিনি জানান যে, অন্যান্য মানুষের কাছে ফেরত আসার কথা শুনেছেন তিনি। কোন ইসরায়েলি কর্মকর্তার কাছে থেকে কোন নির্দেশ পাননি।
এদিকে উত্তর গাজার চেকপয়েন্টে ফেরার চেষ্টারত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। এতে করে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে সিএনএন। এ সময় ৫ বছরের এক শিশুও ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আহত হয়।
এ ঘটনায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাথে সিএনএন যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোন মন্তব্য করেনি আইডিএফ।