সাবেক ফুটবলারদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সোনালী অতীত ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার। মতিঝিলের অফিস পাড়ায় সোনালী অতীত ক্লাবের নিজস্ব স্থাপনায় এজিএম ও নির্বাচনে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ২ বছরের জন্য গঠিত হয়েছে ৩০ সদস্যের নতুন নির্বাহী কমিটি। যার সভাপতি করা হয়েছে সাবেক তারকা আবদুল গাফফারকে। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনঃনির্বাচিত করা হয়েছে ইলিয়াছ হোসেনকে।
সাবেক তারকা আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, ওহিদুজ্জামান পিন্টু ও আবু নোমান নান্নুকে নিয়ে গড়া তিন সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি উপস্থিত প্রায় ১০০ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে গাফফারকে সভাপতি ও ইলিয়াছকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন।
গেল কয়েক বছরে ফুটবলসহ দেশের ক্রীড়াঙ্গনর দুস্থ, সমস্যাগ্রস্থ ও অসুস্থ সাবেক-বর্তমান ক্রীড়াবিদদের সরকারী সহায়তা পাইয়ে দিতে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন গাফফার।
এই বৈশিষ্ঠ্যের কারণেই স্থবির হয়ে পড়া সোনালী অতীত ক্লাবের দায়িত্ব গাফফারকে দেওয়া হয়েছে। সোনালী অতীত ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে আবদুল গাফফার বলেন, ‘আমাদের ক্লাবকে একটি সক্রিয় সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ক্লাবের সকলে মিলে আমাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। এছাড়া আগের মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ হোসেনকে আরেক মেয়াদের জন্য এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি সকলের কাছে ওয়াদাবদ্ধ আমাদের ক্লাবটাকে একটি সুন্দর পরিবেশ এনে দেওয়ার ব্যাপারে। এবং ক্লাবের এই জায়গাটাকে নিয়ে কিছু করা যায় কীনা, এ ব্যাপারে আমি সরকারের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। আমার চেষ্টা থাকবে ক্লাবের সকলকে নিয়ে আগামী দিনের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে কিছু করার। আমরা কারও শত্রু নই। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, ক্রীড়া পরিষদ এবং সরকার ফুটবল উন্নয়নে আমাদের কাছে কোনো সহায়তা চাইলে আমরা সহযোগীতা দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আমাদের অনেক সোনালী সময়ের ফুটবলার আছেন। তাদের নিয়ে ক্লাবটিকে একটা ভালো অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই। তাছাড়া অনেক সাবেক ফুটবলার আছেন, যাদের আর্থসামাজিক অবস্থা খুব খারাপ। আমি এমন কিছু করতে চাই যাতে কেবল সরকার নয়, এই ক্লাব থেকেও তাদের পাশে দাঁড়ানো যায়।’
উল্লেখ্য বিগত কমিটির সভাপতি ছিলেন হাসানুজ্জামান খান বাবলু। তিনি এবার আর নির্বাচনে অংশ নেননি।