কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে এক পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৪ জন অসুস্থসহ দুর্বৃত্তদের চুরিকাঘাতে এক শিশু আহত হয়েছে। অসুস্থদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অসুস্থরা হলেন রেশনা আক্তার (৩০), তার শিশু সন্তান আল আমিন (৬), মাওলানা আব্বাস উদ্দিন (৫০), তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (৪০) ও ছেলে ওমর ফারুক (১৭)। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামের গ্রীস প্রবাসী আলাউদ্দিন বাচ্চুর বাড়িতে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গত শনিবার রাতে দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামের গ্রীস প্রবাসী আলাউদ্দিন বাচ্চুর রান্না ঘরে রাখা খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশেয়ে রাখেন। সেদিন রাতে আলাউদ্দিন বাচ্চুর স্ত্রী রেশমা এবং তার বড় ভাই মাওলানা আব্বাস উদ্দিন, তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ও ছেলে ওমর ফারুক নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে আলাউদ্দিন বাচ্চুর শিশু সন্তান আল আমিন ও মাওলানা আব্বাস উদ্দিনের মেয়ে নুজাইফা খাবার না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। শনিবার রাত ১০টার দিকে দুর্বত্তরা শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সবাই অচেতন থাকা অবস্থায় আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। এ সময় শিশু আল আমিন দুর্বৃত্তদের উপস্থিতি টের পেলে তাকে কুপিয়ে জখম করে।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সবাই অসুস্থ থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তারা সুস্থ হয়ে এসে থানায় অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।