সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

আনারকে হত্যার পর ছবি পাঠানো হয় আ.লীগ নেতার হোয়াটসঅ্যাপে

  • আনারকে হত্যার পর সেই ছবি পাঠানো হয় ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগের এক নেতাকে
  • অপহরণ-হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে আনারের খুনি শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে দেখাও করেছেন বাবু
আপডেট : ১০ জুন ২০২৪, ১১:৫২ এএম

ভারতের কলকাতার ফ্ল্যাটে ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পর তাঁর পোশাক খুলে ছবি তোলেন খুনিরা। আর সেই ছবি পাঠানো হয় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ ওরফে বাবুর হোয়াটসঅ্যাপে।

এমনকি আনারের অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তার খুনি শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে দেখাও করেছেন বাবু।

গতকাল ঢাকার একটি আদালতে পুলিশের দাখিল করা তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, খুনের পর সংসদ সদস্যের ছবি আওয়ামী লীগ নেতা কামালের কাছে পাঠিয়েছেন চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়া। খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজে যুক্ত ছিলেন শিমুল। তিনি অপরাধ স্বীকার করে ঢাকার আদালতে গত সপ্তাহে জবানবন্দি দিয়েছেন।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ভারতের কলকাতায় সংসদ সদস্য খুন হয়েছেন—এই বার্তা ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতাকে পৌঁছে দিতেই মূলত ওই ছবি কামালের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে এ-ও বলা হয়েছিল, ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ওই নেতার মনোনয়ন পাওয়া এখন নিশ্চিত।

ডিবি সূত্র বলছে, শিমুল ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কাজী কামালের বাইরেও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আরও এক নেতার নাম জানা গেছে।

সূত্রগুলো আরও বলছে, গত ১৫ মে ভারতের কলকাতা থেকে দেশে ফেরেন শিমুল। এরপর ১৭ মে ফরিদপুরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে একটি গাড়ির মধ্যে শিমুলের সাথে দেখা করেন ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের নেতা কাজী কামাল বাবু। সে সময় তিনি হত্যাকাণ্ডের ছবি দেখেন ও এ কাজে কত টাকা হাতবদল হয়েছে তা নিয়ে কথা বলেন।

শনিবার রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ নিয়ে এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাবু এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামানের মামাতো ভাই।

গত ১৩ মে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে খুন হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম। খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ডিবি। এর মধ্যে খুনের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত মো. আক্তারুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানতে পেরেছে।

অন্য আসামিদের মধ্যে মো. সিয়াম হোসেন নেপালে আটক হন। এখন তিনি কলকাতা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। আরেক আসামি ‘কসাই’ নামে পরিচিত জিহাদ হাওলাদারও ভারতের কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত