যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে। ১৫ সদস্যের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৪টি। ভোট দেওয়া থেকে শুধু বিরত ছিল রাশিয়া।
গতকাল সোমবার প্রস্তাবটির ওপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়। খবর বিবিসি ও আল জাজিরা।
এর আগে গতমাসের ৩১ তারিখে গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের এ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরিকল্পনায় গাজাতে প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময়, দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, অবশিষ্ট বন্দি বিনিময় এবং তৃতীয় ধাপে যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
জাতিসংঘে এমন সময় গাজায় যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব পাস হলো, যখন ইসরায়েল গাজায় হামলার আরও তীব্র করেছে এবং দখলদার বাহিনীর নির্বিচার হামলায় সেখানে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
তবে এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল রাশিয়া। কারণ প্রস্তাবে কিভাবে কি করা হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখা নেই বলে জানিয়েছে দেশটি। এ বিষয়ে রাশিয়ার জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া জাতিসংঘে বলেন, "আমরা প্রস্তাবটিতে আটকাতে চাইনি কারণ যতটা আমরা বুঝি, এটি আরব বিশ্ব দ্বারা সমর্থিত।"
ইসরায়েল ও হামাসকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবকে নতুন সুযোগ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
এদিকে ফিলিস্তিনি হামাস গোষ্ঠী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষিত গাজায় যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনাটি পাসের পরপরই এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বন্দিদের বিনিময় (এবং) গাজার পুনর্গঠনকে তারা স্বাগত জানায়।’
তবে নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের দেওয়া প্রস্তাবই ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।