ত্রিনিদাদে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে উইন্ডিজ তুলেছিল ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। জবাব দিতে নেমে শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৩ রান। রোমারিও শেফার্ডের প্রথম দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন মিচেল স্যান্টনার।
কিন্তু আলজারি জোসেফ (৪/১৯) ও গুডাকেশ মোতির (৩/২৫) দারুণ বোলিংয়ে পর শেষ ওভারে ১৯ রান তুলে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থামে ১৩৬ এ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটা জিতেছে ১৩ রানে।
সি গ্রুপে নিজেদের টানা দ্বিতীয় হারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে প্রায় ছিটকে গেছে কিউইরা। তাদের 'বিদায় ঘণ্টা' বেজে গেছে। কারণ আফগানিস্তান তাদের বাকি থাকা দুই ম্যাচের আর একটি জিতলেই সুপার এইটে উঠে যাবে। তিন ম্যাচের সব জিতে সুপার এইট নিশ্চিত হয়ে গেছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে মন্থর উইকেটে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁতে শুরুটা ভালো শুরু করতে হতো নিউজিল্যান্ডের। সেটা তারা করতে পারেনি। প্রথম ৭ ওভারে ৪৫ রানে হারিয়েছে ৩ উইকেট।
মাত্র ১ রান করে মোতির বলে উইকেটকিপার পুরানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসন। তার আগে আউট হন ফিন অ্যালেন (২৬) ও ডেভন কনওয়ে (৫)।
রাচিন রবীন্দ্র (১০) ও ড্যারেল মিচেল (১২) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১১ ওভারে কিউইদের ৫ উইকেট ৬৩।
এরপর একাই লড়ে গেছেন গ্লেন ফিলিপস। ৩৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন তিনি। শেষ দিকে স্যান্টনারের চেষ্ট কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
তার আগে টস হেরে আগে ব্যাট করা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের পুঁজি এনে দেন শেরফান রাদারফোর্ড। ২ চার ও ৬ ছক্কায় ৩৯ বলে ৬৮ রান করেন রাদারফোর্ড। এছাড়া নিকোলাস পুরান করেন ১৭, আকিল হোসেন ১৫ রান।
ম্যাচসেরা হয়েছেন রাদারফোর্ড। তিন ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট পেয়ে সি গ্রুপ টেবিলের শীর্ষে উইন্ডিজ। ৪ পয়েন্টে দুইয়ে আফগানিস্তান, উগান্ডা আছে তিন নম্বরে, পাপুয়া নিউগিনি ও নিউজিল্যান্ড কোন পয়েন্ট না পেয়ে আছে যথাক্রমে চার ও পাঁচ নম্বরে।