সিরাজগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা-নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর একটি মুদি দোকান দখল, পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহত আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ জনে।
গত মঙ্গলবার সকালে জেলার শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের চর বর্ণিয়া গ্রামের আখের, মতিন, হামিদ গ্রুপের সঙ্গে সায়েম ও মনি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
বুধবার ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সায়েম গ্রুপের সদস্য আব্দুস সোবাহানের ছেলে গালিভ (১৫) নিহত হয়। তার মরদেহ এদিন দুপুরে শাহজাদপুর থানায় এসে পৌঁছায়। একইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে আখের গ্রুপের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফালাবিদ্ধ ফরহাদ হোসেনকে (৪০) পাবনা হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে নিহত হন। পুলিশ রাত ১১টার দিকে তার মরদেহ চর বর্ণিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে যায়। এর আগে টেটাবিদ্ধ হয়ে মো: সানোয়ার ফকির (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন।
এদিকে সায়েম গ্রুপের মো: সানোয়ার ফকির হত্যার ঘটনায় মা আনতিরি খাতুন বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় ১২৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আসলাম হোসেন বলেন, গালিভ ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। সেখান থেকে ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে তার মরদেহ থানায় এসে পৌঁছায়। অপরদিকে ফালাবিদ্ধ ফরহাদ হোসেনের মৃত্যু সংবাদ রাত সাড়ে ৮টার দিকে পেয়ে চর বর্ণিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে থানায় এনে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ২ নিহতের ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। এ সংঘর্ষেও পর উভয়পক্ষের নারী, পুরুষ ও শিশু গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে থাকায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।