বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের রেস্ট হাউজের মূল ফটকের সিঁড়ির ওপর গতকাল সোমবার (২৪ জুন) অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, অজ্ঞাত ওই লাশের ঝামেলা এড়াতে গোপনে লোকজন দিয়ে মরদেহটি সরিয়ে রেলওয়ে সীমানার বাহিরে রেখে দেয় রেলওয়ে পুলিশ।
জানা যায়, লাশ সরিয়ে নেওয়ার পর সমালোচনার মুখে সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় আদমদীঘি থানা পুলিশ। এরপর পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা লাশটি। মরদেহটি ভূপেন চন্দ্র বর্মণ (৫৬) নামের এক ব্যক্তির। তার বাড়ি নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার হাজরাপুকুর গ্রামে। তিনি ধনেশ্বর বর্মণের ছেলে বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন এলাকায় ঘুরাঘুরি করছিলেন। স্টেশনে যাত্রীদের প্রবেশ করার মূল ফটকের পাশে থাকতেন। বেশকিছু দিন ধরে তাকে সান্তাহার রেলওয়ের রেস্ট হাউজের সামনে দেখা যায়। গতবাল সোমবার সকালে ওই রেস্ট হাউজের ফটকের সিড়িঁর উপর তার মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। স্থানীয়রা সান্তাহার রেলওয়ে থানায় খবর দিলেও ৮ ঘণ্টা পার হলেও ওই মরদেহটি উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে নাই রেলওয়ে থানা পুলিশ। পরে সমালোচনার মুখে আদমদীঘি থানা মৃতদেহ উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্ত করে।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তার হোসেনের বক্তব্য নিতে থানায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, সান্তাহার রেলওয়ে রেস্ট হাউজের সামনে দীর্ঘসময় একটি মরদেহ পড়ে ছিল। আদমদীঘি থানা পুলিশ খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পরিচয় শনাক্তের মাধ্যমে নিহতের পরিবারে খবর পাঠানো হলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।